
আরশাদুল ইসলাম ঝন্টু
শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোষক তৈরির দোকানগুলোতে ভিড়। জমে উঠেছে লেপ তোষক দোকান গুলিতে।
যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় সর্বত্রই গত কয়েকদিন থেকে একটু একটু করে শীত আসতে শুরু করেছে। শীতের আগমনে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা। এবার একটু আগে থেকেই শীত নামতে শুরু করেছে। আগাম শীতে ধ লেপ-তোষকের ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি।কেশবপুর পৌর শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ও দোকানে ব্যবসায়ীরা বিক্রির জন্য লেপ-তোষক মওজুদ করে রেখেছেন।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশা পড়ছে। দিনে সূর্যের আলো থাকলেও সন্ধ্যার পর কুয়াশায় চারদিকে ঢেকে যাচ্ছে। নভেম্বর মাসের শুরু থেকে কেশবপুরে কিছুটা শীত নামতে শুরু করেছে। আগাম শীতের কারণে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় বেজায় খুশি লেপ তোষক দোকানদার ও গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা। লোকজন নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোষক সংগ্রহ করেছেন। লেপ-তোষাক তৈরির অগ্রিম ওডার নিচ্ছেন কারিগররা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,কেশবপুর বাজার, পাজিয়া বাজার, সাতবাড়িয়া বাজার,ভাল্লুক ঘর বাজার, মঙ্গলকোট বাজার, সাগরদাঁড়ি বাজার,কোমলপুর বাজার, ত্রিমহিনী বাজার, সরসকাটি বাজার, ভেচ্চি বাজার, সন্নসগাছা বাজার, ববেতিখোলা বাজারে লেপ-তোষক কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। এ দিকে খোলা বাজারে লেপ-তোষক তৈরির তুলার দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। কেশবপুর পৌর শহর এলাকার লেপ-তোষক তৈরির কারিগর জানান, বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্ট তুলা ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, শিমল তুলা ৩৮০ টাকা থেকে ৪২০ টাকা, কার্পাস তুলা তুলা ১৭০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলার মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে পৌর এলাকা ও গ্রামাঞ্চলের গৃহবধূরা শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে কাঁথা কম্বলগুলো জোড়াতালী দিয়ে আগেভাগে মেরামত করেছেন। কেশবপুর ত্রিমোহিনী মোড়ে কেশবপুর বেডিং এর মালিক খোরশেদ আলম বলেন এবার শীত একটু আগে পড়তে শুরু হয়েছে তাই বেচাকেনা বাড়তে শুরু হয়েছে। একটি লেপ বানাতে প্রকারভেদে ১২০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
পৌর শহরের বাড়ি কেশবপুরের আলতাপোল গ্রামের এলাকার তরিকুল ইসলাম জানান, গত বার ১২০০ টাকায় যে লেপ বানানো হয়েছিল এবার সেটা ১৭০০ টাকা খরচ পড়ছে।