মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামে বাপ ও ছেলেকে মেরে কোলের বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ

মোঃ তারিকুল ইসলাম তুহিন,মাগুরা

মহাম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের নওভাঙ্গা গ্রামে বাপ ছেলেকে মেরে বাচ্চাকে কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
গত ৯ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় নাওভাঙ্গা গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার পুত্র কায়েম মোল্লা (৩৯), আবু বিশ্বাসের পুত্র আরব আলী (৪০), পিয়ার আলীর পুত্র আরাফাত (১৭), আবু বিশ্বাসের পুত্র শহর আলী (৩৫) সহ ৬-৭ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র রড, হাতুড়, দা ও লাঠি দিয়ে একই গ্রামের আবু তালেব মোল্লার পুত্র মোঃ শাহারুল ইসলাম (৩৯), তার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া পুত্র তামিম হোসাইনকে (১০) বেধড়ক মারধর করে হাতভেঙ্গে দিয়ে আহত করে এবং তার স্ত্রীর কোলে থাকা বাচ্চা কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয়।
আহত মোহাম্মদ শাহারুল ইসলাম জানান, রাজাপুর আর এম রাখি মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে আমার পুত্র তামিম হোসাইন লেখাপড়া করে। এই ঘটনার কয়দিন আগে শহর আলীর দুই জমজ ছেলে হাসান (১০) ও হুসাইন (১২) বল খেলা কে কেন্দ্র করে নতুন মসজিদের সামনে থেকে ইট দিয়ে আঘাত করে এবং এরই সূত্র ধরে আসামিরা আমার বাড়িতে আগুন ও আমাদের পরিবারের সবাইকে মারধর করে ও আমার স্ত্রীর কোলের বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে ।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পাওয়া যায় নাই তবে তাদের পক্ষের অর্থাৎ বিবাদী পক্ষের মাতুব্বর ডাঃ বাদশাহ মোল্লা বলেন, ব্যাডমিন্টন খেলা কে কেন্দ্র করে বাচ্চা ছেলেরা মারামারি করে তারই সূত্র ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শাহারুল জানান আমার কোন লোকজন নাই,সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা আমকে বেধড়ক মারধর করেছেে আমার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে কে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে তারা আমার মুরব্বি মাকে মেরে জখম করেছে এমব কি আমার স্ত্রী কে মেরে কোলে থাকা ছোট ছেলে টাকে কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে হত্যার চেষ্টা করেছে। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সরেজমিন বার্তা কে শাহারুল জানান আমি কোর্টে মামলা করেছি, তিনি আরও বলেন, আমার লোকজন নেই বলে তারা যে, বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে আমি প্রশাসনের কাছে তার দৃর্ষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *