সীমানা প্রাচীর না থাকায় ঝুঁকিতে স্কুল শিক্ষার্থীরা!

মোঃ জুয়েল রানা, চাঁদপুর


শিলাস্থান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে রাস্তা। ওই রাস্তায় নেই কোনো গতি নিরোধ ব্যবস্থা। এছাড়া বিদ্যালয়টির মাঠের পাশে কোনো সীমানা প্রাচীর নেই। খোলা মাঠে অ্যাসেম্বলি করার সময় হঠাৎ করেই ঢুকে পড়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। শিক্ষার্থীরা ভয় ও ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হয়। তাছাড়া মাঠে খেলাধুলা করার সময় বিঘ্ন ঘটায় দ্রুতগতিতে আসা অটোরিকশা ও মালবাহী পিকআপ ভ্যান। গত তিন বছরে শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে।
১৯৪৬ সালে এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যালয়টির চারপাশে সীমানা প্রাচীর দেওয়া হয়নি। যার কারণে যেকোনো সময় বেপরোয়াভাবে যানবাহন বিদ্যালয় মাঠে ঢুকে পড়ে। অরক্ষিত অবস্থায় পার্কিং করা হয়। এতে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তা পারাপার, খেলাধুলা, অ্যাসেম্বলি করছে। অথচ ৮০ মিটার সীমানা প্রাচীর হলেই শিক্ষার্থীরা নিরাপদ থাকবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষক ও স্থানীয়রা। আমাদের আরো বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন টি জরাজীর্ণ যুকি নিয়ে পাঠদান করতে হয়। বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে খাল এতে করে মাটি বেঙ্গে যাচ্ছে ।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবেলা আক্তার রাফিয়া বলেন, ঝুঁকি নিয়ে ক্লাসে পড়াশোনা ও সহপাঠীদের সঙ্গে মাঠে খেলাধুলা করতে হয়। খেলাধুলা করা অবস্থায় প্রায় অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল ঢুকে পড়ে। পাশে রাস্তা থাকার কারণে এসব যানবাহন হুট করে ঢুকে পড়ে। আমরা নিরাপদ ক্লাসরুম ও খেলাধুলার জন্য নিরাপদ মাঠ চাই। ডিসি স্যার ও ইউএনও স্যার আমাদের বিদ্যালয় পরিদর্শন করে মাঠের পাশে দেয়ালের ব্যবস্থা ও একটি ভবন, খালের পাশে গাইডওয়াল করবে, আমরা এমনটাই প্রত্যাশা করি।
একই শ্রেণির শিক্ষার্থী রিপাত ও জিহাদ জানান, মাঠে খেলাধুলার পাশাপাশি সড়ক পারাপার হতে আমাদের অনেক ভয় লাগে। আমাদের বিদ্যালয়ের পাশে যেমন সীমানা প্রাচীর প্রয়োজন, তেমনি রাস্তার ওপর দুইটি স্পিড ব্রেকার দেওয়ার জোর দাবি করছি।
শিলাস্থান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বি এম মোঃ নাছির উদ্দিন আজকের গোয়েন্দা সংবাদ কে জানান, বিদ্যালয়ে নিয়ে শিক্ষক ছাত্র/ ছাত্রী ঝুকি নিয়ে ক্লাস করতে হয়। এবং মাঠে শিক্ষার্থীদের পিটি করানো অবস্থায় হুটহাট করে মোটরসাইকেল ও মালবাহী পিকআপ ঢুকে পড়ে। বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের জানানো হয়েছে। মাঠের পাশে সীমানা প্রাচীর ও ভবন এবং খালের পাশে গাইড ওয়াল দেওয়া খুব জরুরি। গত ৩ বছরে ৩ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। মাত্র ৮০ মিটার সীমানা প্রাচীর হলেই, আমাদের ছাত্র-ছাত্রী নিরাপদে খেলাধুলা করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *