কালিয়া প্রতিনিধি, নড়াইল
নড়াইলের কালিয়ায় পুরুলিয়া ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে মহিলাদের মাঝে হওয়া ছোট বিবাদকে কেন্দ্র করে নড়াইল কোর্টে একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন সপ্না বেগম । উক্ত মামলায় নির্দোষ হয়েও বিনা দোষে জেল খাটতে হয়েছে আসামিদের ।
স্থানীয় সূত্রে জানাজায়, বুধবার ২৪ এপ্রিল আনুমানিক সকাল ৮টার সময় ধান মাড়াই করার সময় পলি বেগমের খড় সপ্না বেগমের সীমানায় পড়া নিয়ে দুই পরিবারের মহিলাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মহিলাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে প্রাথমিক তদন্ত করে কালিয়া থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করেন এবং বিবাদ মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দেন। পলি বেগমের পরিবার পরামর্শমতো বিবাদ মেটাতে চাইলেও সপ্না বেগম মীমাংসা না করে নড়াইল কোর্টে একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এমনকি মামলার রায় নিজের পক্ষে নেওয়ার জন্য সপ্না বেগম পুরুলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনি মিয়া সহ ইউনিয়ন সদস্যদের সিল নকল করেছেন বলেও প্রমাণ মিলে।
এ ব্যাপারে ২নং পুরুলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনি মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সপ্না বেগম এবং পলি বেগমের পরিবারের মহিলাদের মাঝে বিবাদের ঘটনা সত্য তবে এটা শুধু মহিলাদের মাঝে হওয়া একটা ঝগড়া মাত্র এখানে কোন পুরুষ মানুষ ছিল না তাই ধর্ষণ হওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠেনা।
তিনি আরও বলেন এখানে সপ্না বেগম জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন তিনি তার সিল নকল করেছেন। তিনি সপ্না বেগমের পক্ষে বা বিপক্ষে কোন প্রকার প্রতিবেদন কোর্টে জমা করেন নি।
তাহায় গাজি ও বাকি আসামিরা এব্যপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন একটা মহিলা কতটা নীচ প্রকৃতির হলে তার নিজের নামে এমন বানোয়াট মিথ্যা মামলা সাজিয়ে নির্দোষ মানুষদের ফাঁসাতে পারে। তারা এই মিথ্যা মামলা ও হয়রানির সঠিক বিচার দাবি করেন।
এসব বিষয় নিয়ে সপ্না বেগমের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি কোন প্রকার তথ্য দিতে অস্বীকার করেন।