রাজৈরের শ্রীকৃষ্ণদী গ্রামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের এবং তানিয়া বেগমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এলাকা বাসীর সংবাদ সম্মেলন।

শহীদুল আলম,নিজস্ব প্রতিনিধি।

মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানাধীন কবিরাজপুর ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণদী গ্রামে মরিয়ম বেগম কর্তৃক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে দায়েরকৃত মিথ্যা, বানোয়াট, মামলার ২নং আসামী তানিয়া বেগমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এলাকাবাসী এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আজ ১০জানুয়ারি সোমবার বিকেল ৫.৩০ ঘটিকায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে সাংবাদিকদের সামনে মুল বক্তব্য পেশ করেন তানিয়া বেগমের দুলাভাই নুরুজ্জামান সরদার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন তানিয়া বেগমের স্বামী লালচাঁন মাতুব্বর গত তিন বছর আগে ইতালী যান এবং তিনি বৈধতার কাগজ পত্রও পেয়ে গেছে। তিনি এখন ইতালীতে বৈধ ভাবেই বসবাস করছে। লালচাঁন মাতুব্বর ইতালী যাওয়ার সময় তার তার জায়গা জমি এমনকি তার বসত বাড়ীটিও বিক্রি করে ইতালী যান, বিধায় তানিয়া বেগম তার দুটি সন্তান নিয়ে ঐ গ্রামের একটি বাড়ীতে ভাড়া থাকেন। গত বছর মরিয়ম বেগমের ছেলে নুর আমিন খালাসী লিভিয়া হয়ে ইতালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী ত্যাগ করেন। সে সময় তানিয়া বেগম নিজের নামে এন,জি ও থেকে পঞ্চাঁশ হাজার টাকা তুলে মরিয়ম বেগমকে দেন তাকে সাহায্য করার জন্য। কিন্ত মরিয়ম বেগম আজ পর্যন্ত তানিয়া বেগমকে টাকা টা ফেরৎ দিতে পারেন নি। ইদানিং তানিয়া বেগম মরিয়ম বেগমের কাছে টাকা চাইতে গেলে মরিয়ম বেগম তানিয়া বেগমকে টাকা না দিয়ে বরং উলটা বিভিন্ন কায়দায় হুমকি দিয়ে ভয় ভীতি দেখাতে থাকে। ছেলের দালাল কে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো টাকার রশিদ ইসু করে তানয়া বেগমকে লিভিয়ার মাফিয়া অপবাদ দিয়ে মাদারীপুর কোর্টে একটি মানব পাচারের মামলা দায়ের করেন। যাতে করে তানিয়া বেগমকে আর কখনো টাকা ফেরৎ দিতে না হয়। অথচ মানব পাচার কিংবা টাকা পয়সা লেনদেনের সাথে কোন ভাবেই তানিয়া বেগম জড়িত নয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গ্রামের সবাই বলেন, তানিয়া বেগম সৎ নিষ্ঠাবান, ও প্রতিবেশী পরায়ন একজন মহিলা তার বিরুদ্ধে যে অপোবাদ দেয়া হয়েছে, আমরা কোন মতেই তাহা বিশ্বাস করি না। প্রশাসনের কাছে আমরা তানিয়া বেগমের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি চাই এবং এই মামলার সঠিক, সুস্থ তদন্ত করে দোষি দের শাস্তি দাবী করছি। তানিয়া বেগমের উপর দায়েরকৃত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, ও ভিত্তিহীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *