যৌতুকের চাহিদা পূরণ না হলেই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন

এস ইউ সুমন ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ-

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া গ্রামের আবু বকর ছিদ্দিক তার ছেলে মাজহারুল ইসলাম লিটন।আবু বকর ছিদ্দিক তার ছেলেকে দিয়ে বিয়ের খেলায় মেতেছে সাথে যৌতুকের ব্যবসা।২৮ বছর বয়সে ৪টি বিয়ে করেছে বিয়ের কিছুদিন পর থেকে শুরু হয় যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ। যৌতুকের চাহিদা পূরণ না হলেই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। বাপ ছেলে দুজনেই অভিনয় জগতে সেরা অভিনেতা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।১২-০৯-২০২৩ ইং তারিখে এক সন্তানের জননী তানজিলা আক্তার কে তালাক দেয় যৌতুকের চাহিদা পূরণ না হওয়ায় চারিত্রিক সমস্যা দেখিয়ে। তানজিলা আক্তারের মামলা মোকদ্দমা শেষ হতে না হতেই ০১-০২-২০২৪ ইং তারিখে বিয়ে করে মুসলিমা খানমকে।বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অভিনয়ের মাধ্যমে মুসলিমা খানমের বাপের বাড়ি থেকে অনেক টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে। একপর্যায়ে যখন আর টাকা পয়সা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় তখন তার শুরু হয় নতুন অভিনয়।মুসলিমা খানমকে তার শ্বশুরবাড়িতে রেখে সে চলে যায় আত্ম গোপনে, তাকে অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। কিছুদিন পর সে যোগাযোগ করে জানায় সে কুমিল্লা অবস্থান করছে সেখান থেকে তাকে আনা হয় বিভিন্ন চাওয়া পাওয়া পূরণ করার মাধ্যমে। শুরু হয় লিটনের পিতা আবু বকর ছিদ্দিকের নতুন অভিনয় লিটনকে চিল্লায় পাঠিয়ে তার বউয়ের উপর যৌতুকের চাপ দিতে থাকে।যৌতুকের চাপ সহ্য করতে না পেরে মুসলিমা খানম তার বাপের বাড়িতে অবস্থান করে লিটনের চিল্লা থেকে আসার আগ পর্যন্ত। জামাত শেষ করে লিটন যখন বাড়িতে আসবে তার আগের দিন তার বাপের বাড়ি থেকে ভাই, বোন, বোন জামাই সহ মুসলিমা খানমকে তার শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যায়।মুসলিমা খানমের শশুর শ্বাশুড়িসহ তাদের পূর্ববর্তী বউয়ের বোনের নিকট আত্মীয়কে দিয়ে মুসলিমার বোন বোনজামাই সহ সকলকে অপমান অপদস্থ করে। মুসলিমার বোন, বোন জামাইন চলে আসলে তারা মুসলিমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। পরের দিন খবর পেয়ে মুসলিমার বাড়ির লোকজন তাকে হাসপাতালের চিকিৎসা শেষে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে নিয়ে আসার পর থেকে সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে বিভিন্ন চেষ্টা করা হয়েছে সমস্যার সমাধানের জন্য কিন্তু অর্থ লোভী বাবা ছেলের অসুন্দর রূপ দেখা যায়। ০৩-১০-২০২৪ ইং তারিখে মুসলিমা খানম মাজহারুল ইসলাম লিটনের নামে যৌতুকের মামলা করে। মামলার নোটিশ যখন লিটনের বাড়িতে পৌঁছে তখন বাপ ছেলে মিলে নতুন নাটক তৈরি করে মুসলিমা খানমকে নকল কাজী দিয়ে, নকল তারিখ দিয়ে(২৮-০৯-২০২৪),নকল কাগজ দিয়ে তালাক নামার নোটিশ পাঠানো হয়। আদালতে নকল কাগজ দাখিল করে যৌতুকের মামলায় জামিন নিয়ে পূর্বের স্ত্রী তানজিলা আক্তার কে আবার তার ঘরে নিয়ে আসে হয়তোবা বিশেষ কোনো সুবিধা পাওয়ার মাধ্যমে। ০৯-০২-২০২৫ ইং তারিখে আদালতে অরিজিনাল কাগজ ও কাজির ভলিয়াম কপি দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু বিজ্ঞ আদালতে তারা কোন মুল কাগজ উপস্থাপন করেনি।মুসলিমা খানম বলেন আমার উকিল কোর্ট শুরু হওয়ার পর কোর্টে হাজির হতে দুই মিনিট দেরি হয়, আসামি পক্ষের উকিলের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আমার উকিলের অনুপস্হিতে লম্বা সময় দিয়ে পরবর্তী (২৭-০৪-২০২৫)তারিখ নির্ধারণ করে। মুসলিমা খানম বলেন মামলার পরবর্তী তারিখ দীর্ঘ সময় পর হওয়ার কারণে আসামি মামলার নিষ্পত্তি না করে বিদেশ পাড়ি জমাতে পারে। মুসলিমা খানম প্রশাসনসহ,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সর্বমহলের কাছে দাবি রাখছে আসামি মাজহারুল ইসলাম লিটন যাতে তার মামলার নিষ্পত্তি না করে আর কোন আইন বহির্ভূত কাজ না করতে পারে সেই ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *