পাইকগাছার ভিজিটিং কার্ড বিক্রির দূর্নীতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

ক্রাইম রিপোর্টার মো: রফিকুল ইসলাম
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার জুলেখা খাতুনের ভিজিডি কার্ড বিক্রির দূর্নীতির দালিলিক প্রমাণাদী নিয়ে ১৬ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ পাইকগাছা উপজেলার জার্নালিস্ট কো অপারেশন অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী জনতার পক্ষে শেখ নাজমুল ইসলাম। মূলত নাজমুল ইসলাম পেশায় একজন ভ্যানচালক। জুলেখা খাতুনের মেম্বারী নির্বাচনের সময় জুলেখা মেম্বার শেখ নাজমুল ইসলামের ভ্যান ব্যবহার করে তার নির্বাচনী কাজ করিত।
সেই সুবাদে শেখ নাজমুল ও জুলেখা মেম্বারের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।
নির্বাচনে জুলেখা মেম্বার হওয়ার পর জুলেখা মেম্বার শেখ নাজমুল ইসলাম সহ তার অনেক কর্মীর তার বাসায় দাওয়াত করে।
খানা খাওয়া শেষে জুলেখা মেম্বার শেখ নাজমুল ইসলামকে বলে নাজমুল ভাই আমি আপনার এলাকায় যাব। আপনি গরীব অসহায় শ্রেণির মানুষের বাসায় নিয়ে যাবেন।
যে কথা সেই কাজ।
ভ্যানচালক নাজমুল জুলেখাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে যায়। জুলেখা মেম্বার তখন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন বড় মাপের নেতা কর্মীর সাথে তার যোগাযোগ আছে, মেম্বারী ক্ষমতা ছাড়াও জুলেখার আওয়ামী লীগের রাজনীতির ক্ষমতা আছে এমন প্রভাব দেখিয়ে ভ্যানচালক নাজমুলকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে কার্ড দেওয়ার কথা বলে অসহায় শ্রেণির মানুষের নিকট থেকে হাজার হাজার টাকা গ্রহণ করে।
এভাবে জুলেখা মেম্বার তার ৩ টি ওয়ার্ডে কাউকে না কাউকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে কার্ড দেওয়ার কথা বলে হাজার হাজার টাকা গ্রহণ করে।
ভুক্তভোগী নাজমুলের মাধ্যমে জুলেখা মেম্বার ৬৫০০০ ( পয়ষট্টি হাজার) টাকা গ্রহণ করে।
কিন্তু জুলেখা মেম্বার নাজমুল শেখ বা কাউকে আজ পর্যন্ত কোন কার্ড দেয়নি।
ভুক্তভোগী নাজমুল শেখ, জুলেখা মেম্বারকে চাপ দিলে জুলেখা মেম্বার ৩০০০০ /( ত্রিশ হাজার) টাকা নাজমুলকে ফেরত দেয়।
ভুক্তভোগী জনতা নাজমুলকে চাপ দিলে নাজমুল ঐ চাপ জুলেখা মেম্বারকে দিলে জুলেখা মেম্বার কৌশল অবলম্বন করে নাজমুলকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে নাজমুলকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। নাজমুলের গলা ধরে জুলেখা মেম্বার তার বাসায় থেকে বের করে দেয় এবং জুলেখা মেম্বার তখন নাজমুলকে বলে তুই কেন টাকার বিষয় চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিস?
আর কোন দিন কোথাও ঐ টাকার কথা বললে তোর নামে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবো।
অসহায় শেখ নাজমুল ইসলাম পাইকগাছা ইউএনও মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
ইউএনও মহোদয় বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা মহিলাও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, নাজমুলের এলাকায় জুলেখা মেম্বার যার যার নিকট থেকে টাকা নিয়েছে ভুক্তভোগী ঐ অসহায় শ্রেণির মানুষের অনেকেই স্বীকারোক্তি মূলক ভিডিও ফুটেজ শেখ নাজমুল ইসলাম ও বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের কাছে সংরক্ষিত আছে।
শেখ নাজমুল ইসলাম যখন ইউএনও মহোদয়ের নিকট জুলেখার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল, তখন জুলেখা মেম্বার নাজমুলের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সন্মেলন করেছিল। অতি বাস্তব সত্যি হলো নাজমুলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে জুলেখা মেম্বার মানুষের মগজ ভিন্নখাতে নেওয়ার অপকৌশল করে চাঁদখালী ইউনিয়ন শাহাজাদা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক বিষয় তুলে ধরে। জুলেখা মেম্বার মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করে চাঁদখালী ইউনিয়নের শাহাজাদা চেয়ারম্যান থেকে নাজমুলকে জুলেখার বিরুদ্ধে কার্ড দেওয়ার কথা বলে ইউএনও মহোদয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের করিয়াছে।
মূলত শেখ নাজমুল ভ্যানচালক। শাহাজাদা চেয়ারম্যানের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। নাজমুলকে ব্যবহার করে জুলেখা মেম্বার কার্ড দেওয়ার কথা বলে দূর্নীতি করেছে। এখানে শাহাজাদা চেয়ারম্যানকে টেনে এনে জুলেখা নিজের অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার অপকৌশল মাত্র, এমনটি জানিয়েছে শেখ নাজমুল ইসলাম।
শেখ নাজমুল ইসলামের এলাকা হতে ভিজিএফ কার্ড দেওয়ার কথা বলে শাহানারার নিকট থেকে ৫ হাজার, পলি আক্তারের নিকট থেকে গর্ভবতী কার্ড দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার, বিধবা ভাতার কথা বলে রেনা বেগমের নিকট থেকে ৬ হাজার, বয়স্ক ভাতার কথা বলে মান আলীর নিকট থেকে ৫ হাজার এমন অনেক গরীব অসহায় শ্রেণির ভুক্তভোগী জনতার নিকট থেকে জুলেখা মেম্বার যে কার্ড দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে তার ভিডিও ফুটেজ আছে।
শেখ নাজমুল সংবাদ সম্মেলন করে প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, প্রশাসন, চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ, সাধারণ জনতা ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের নিকট সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি যেন জুলেখা মেম্বারের নিকট থেকে টাকা আদায় করিতে পারে। এবং জুলেখা মেম্বারের এমন অপকর্মের জন্য যথাযথ শাস্তির দাবী জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *