
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-
বৃহষ্পতিবার ভোর ৪টায় সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউজ মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মাজাট গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, একই উপজেলার জয়নগর গ্রামের বাহার আলী তরফদারের ছেলে আব্দুর রউফ, দেবহাটা উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের তারক চন্দ্র ঘোষের ছেলে তপন ঘোষ, কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের বাহার আলীর ছেলে রুহুল আমিন, একই উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের আশরাফ আলী গাজীর ছেলে শাহীনুর রহমান। এছাড়া চায়না ও আব্দুল্লাহ নামে দুইজনের ঠিকানা জানা যায়নি।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও দুইজনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ও আর ৬জনকে বিভিন্ন ক্লিনিকে ও ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তপন কুমার ঘোষ জানান, তিনি বুধবার সকালে ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জন্য জন্য ঢাকার যমুনা পার্কে যান। সেখান থেকে কাজ মিটিয়ে রাতে ঢাকা থেকে নাভারণগামি একটি পরিবহনে যশোরের চাঁচড়ায় নামেন। সেখান থেকে সাতক্ষীরাগামি দিগন্ত পরিবহনে ওঠেন। ঘুম লাগার কারণে নাভারণ পার হতেই চালক বার বার ব্রেক করছিলেন।
পরিবহনটি বৃহষ্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউজ মোড়ে পৌঁছালে ঘুমের কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরিবহনটিকে আশা সমিতির পাশে একটি সৃষ্টিফুল গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা মারেন। এতে ওই গাছটি পরিবহনের সামনে ঢুকে যায়। পরিবহনটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে তিনি ও হেলপারসহ কমপক্ষে ১৩ যাত্রী আহত হন। পরিবহনে ৪০ থেকে ৪৫ জন যাত্রী ছিলো বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আশরাফুল হক জানান, আশঙ্কাজনক হওয়ায় চায়না ও আলমগীরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে গাছ কেটে যাত্রীদের উদ্ধার করার সময় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনের কনস্টেবল নায়েব আলী আহত হন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে দুর্ঘটনায় কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।