
মো : আল আমিন মোহাম্মদপুর উপজেলা প্রতিনিধি:
মাগুরা মোহাম্মদ পুর উপজেলার বালিদিয়া উইনিয়নের ১নং ওয়ার্ড কাওড়া গ্রামের হিজাল তলার মাঠে
সূর্যমুখী ফসলে চাষ।
চাষি শফিক জানান, সরকারি প্রনোদনা ও প্রদশনীর মাধ্যমে বীজ ও সার পেয়ে এবছর প্রথম সুর্যমূখীর চাষ করেছেন তিনি। প্রথমে তেমন আগ্রহ না থাকলেও ফলন দেখে অনেক ভালো লাগছে। প্রতিটি গাছে অনেক বড় বড় ফুল হয়েছে। কম খরচে অধিক ফসল পাওয়া যায় ও সূর্যমুখীর তেলের চাহিদা রয়েছে এ কারণে আমরা এই ফসলটি আবাদ করেছি। এছাড়া সূর্যমুখী ফুলের বাগানের মনোরম দৃশ্য দেখতে ও ছবি তুলতে প্রতিদিন ভিড় করছেন অনেকেই। আবহাওয়া ও বাজার ভালো থাকলে অনেক টাকা লাভ হবে।
মোহাম্মদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুর সুবান , এই এলাকার মাঠি সূর্যমুখী চাষের জন্য খবুই উপযোগী, যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে ও কোন প্রাকৃতিক দূযোগ না আসে তাহলে আশা করছি একরে প্রায় ৩ থেকে-৪ কেজি সূর্যমুখীর বীজ সংগ্রহ করা যাবে। এ বীজ থেকে ৩০-৩৫ভাগ তেল উৎপাদন করা যাবে। তেলের পাশাপাশি এ খৈল পাখি, মাছ ও গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে বিক্রি করে বাড়তি আয় সম্ভব।
মোহাম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা জানান, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সরকারের প্রণোদনা ও পার্টনার প্রোগ্রাম এর আওতায় এবং কৃষি বিভাগের নজরদারিতে পতিত জমিতে সূর্যমুখী ফসল আবাদ করে কৃষকের বাম্পার ফলন হয়েছে। সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেলে লিনোলিক অ্যাসিড থাকে যা হার্টের জন্য ভালো। এছাড়া এই তেল আমাদের শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন বাড়লে মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত তেল পাবে, চাষিরাও লাভবান হবেন। কম খরচে বেশি লাভের সুযোগ থাকায় মোহাম্মদপুর উপজেলার অনেকেই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।