
মোঃ তারিকুল ইসলাম তুহিন,জেলা প্রতিনিধি,মাগুরাঃ মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালি ইউনিয়নের মাধবপুর ও চালিমিয়া গ্রাম এবং দীঘা ইউনিয়নের আউনাড়া গ্রামে ফসলি জমি থেকে অনুমতিহীন অবৈধ ভাবে মাটি কেটে অবৈধ ট্রাক্টর ও ইঞ্জিন চালিত লাটা গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা ভরাট ও ইট ভাটাতে বিক্রয় করছে স্হানীয় প্রভাব শালী আউনাড়া গ্রামের গোপাল ও বেথুলিয়া গ্রামের প্রভাবশালী মিলন। সরজমিনে গেলে স্হানীয় এলাকা বাসি অভিযোগ করেন মাটি কাটার কারনে রাস্তা ঘাটসহ এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।,ধুলাবালির কারনে এলাকার ঘর বাড়ি আসবাপত্র,খাবার নষ্ট সহ দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এমনও অভিযোগ আসছে গাড়ি চলার কারনে শিশু সহ বয়োবৃদ্ধ দের শ্বাষকষ্ট সহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্হানীয় মাধবপুর, চালিমিয়া ও আউনাড়া এলাকা বাসি দৈনিক সরেজমিন বার্তা কে বলেন,এইমাটি কাটার কারনে আমাদের বাড়িতে থাকা অসম্ভব হচ্ছে খাবার খাইতে গেলে মনে হয় ধুলা বালি খাচ্ছি,এমনও মনে হয় পানি খেতে গেলে পানির পাত্রে ও পানিতে শুধু ধুলাবালু গিজগিজ করছে। এই রাস্তা দিয়ে অবৈধ গাড়ি চলায় আমাদের ছেলে মেয়ে তাদের স্কুল কলেজে,মাদ্রাসা যাওয়া নিরাপদ নয়, যে কোন সময় হতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। মাটি কাটার অনুমতির বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে,মাটি ব্যবসায়ি বেথুলিয়া গ্রামের মিলন ও চালিমিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন জানান আমাদের মাটি কাটতে কোন অনুমতি লাগে না, আর আমরা তো আমদের নিজেদের জায়গা থেকে মাটি কাটতেছি গ্রামের এতে অনুমতি লাগবে কেন।
মাটি কাটার অনুমতির বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার,শাহিনুর আক্তার কে সাংবাদিকেরা মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন না এবং পরবর্তীতে ফোন ব্যাক করেন নাই। অতপর মহম্মদপুরের উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) বাসুদেব কুমার মালো গনমাধ্যম কর্মিদের মুঠোফোনে বলেন,আমি মাটি কাটার কোন অনুমতি দিই নাই এইটার অনুমতি আমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার মাটি কাটার অনুমতি দিছেন কিনা আমার জানা নাই। আমি জেনেছি এখন পরবর্তী ব্যবস্হা গ্রহন করব। কিন্তু মহম্মদপুরের উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) বাসুদেব কুমার মালো, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্বে থাকা কালিন আউনাড়া সহ মহম্মদপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ মাটি কাটা নাম মাত্র বন্ধ করেছিলেন। যতক্ষণ গনমাধ্যম কর্মীরা স্পটে থাকেন ততক্ষণ বন্ধ থাকে মাটি কাটা। এবিষয়ে এলাকা বাসির দাবি এই মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন দ্রুততার কঠোর আইনি ব্যবস্হা গ্রহন করবেন বলে আশা করেন।