মোঃআব্দুল আলিম (ব্যুরোঅফিস)রংপুর
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিলম্ব হলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘মানবাধিকার নিশ্চিতে রাজনীতিবিদদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক অধ্যাপক বোরহান উদ্দীন খান।গণতন্ত্রের উত্তরণ ও নির্বাচন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠার জন্য দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা জরুরি। জনগণ ইতোমধ্যেই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি তুলে ধরেছেন, যা রাজনৈতিক বাস্তবতার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি শোনা গেলেও তার কোনো দৃশ্যমান রূপরেখা জনগণের সামনে উপস্থাপিত হয়নি। নির্বাচনমুখী সংস্কার বাস্তবায়ন ও একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়ন না করলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আরও দীর্ঘায়িত হবে। এতে পতিত স্বৈরাচার ও তাদের সহযোগীরা অস্থিরতা বাড়ানোর সুযোগ পাবে।
সংস্কার ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উদ্বেগঃ
তিনি আরও বলেন, “আমরা সংস্কার চাই, এবং বিএনপি সর্বপ্রথম সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। কিন্তু যদি বলা হয়, সংস্কার শেষ করে তারপর নির্বাচনে যেতে হবে।তাহলে সেই প্রক্রিয়াটিকে দীর্ঘায়িত করার কৌশল হতে পারে।দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “যদি জনগণের আয় ও ক্রয়ক্ষমতার সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের সমন্বয় না থাকে, তাহলে সরকার যত ভালো কাজই করুক, সাধারণ মানুষ সেটিকে ইতিবাচকভাবে মেনে নেবে না।”
জাতীয় ঐকমত্য ও নির্বাচনকালীন রূপরেখার প্রয়োজনীয়তায় সালাহউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, নির্বাচনমুখী সংস্কার চিহ্নিত করে দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। এজন্য জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা জরুরি। একই সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও রোডম্যাপ জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে, যাতে জাতির মধ্যে অস্থিরতা দূর হয় এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।
সভায় অন্যদের বক্তব্যে
সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম,নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমসহ আরও অনেকে।