যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বেকসুর খালাস বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

স্টাফ রিপোর্টার (বিজয় মাহমুদ) যশোর:

যশোরে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় (১০ মার্চ ২০২৫) সোমবার যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার এ মামলাটি করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর লন্ডনে বিএনপি আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তারেক রহমান বলেন শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাকামী মানুষের হত্যাকারী। তিনি একজন পাকিস্তানী নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের রাস্টপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। একারণে শেখ মুজিবুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহী মামলা হওয়া উচিত। মামলায় শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তারেক রহমান ঘৃণা, বিদ্বেষ, অবজ্ঞা ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে উল্লেখ করা হয়। আদালতের নির্দেশে পরে যশোর কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি তদন্ত গণি মিয়া। সর্বশেষ সোমবার এ মামলার রায়ে তাকে খালাস প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর ও জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে হলে তাকে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেই সময় শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রের কোন দায়িত্বে ছিলেন না, ফলে মামলাটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে প্রমাণিত হয়। তিনি আরও বলেন এর আগে মামলাটি আমলি আদালতে অব্যাহতির জন্য আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করা হয়। পরে জেলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করা হয়। শুনানীর পর আদালত তারেক রহমানকে খালাস প্রদান করেন এবং তার বিরুদ্ধে থাকা প্রেপ্তারি পরোয়ানা গুলো প্রত্যাহার করে মামলা খারিজ করা হয়।
উল্লেখ্য একই ঘটনায় একই বছরের ২২ ডিসেম্বর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেন বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। এছাড়াও একই ঘটনায় ঝিকরগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শাহজান আলী বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। এরমধ্যে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর মুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেন তার মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *