গাজীপুরের টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাজীপুরের টঙ্গীতে কারখানা গেইটে অনির্দিষ্টকালের বন্ধের নোটিশ দেখে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুইপাশে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত টঙ্গীর দত্তপাড়া (হোসেন মার্কেট) এলাকার বিএসআইএস কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শ্রমিকদের দাবি, ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন গত ৯ মার্চ দেওয়ার কথা ছিল। সোমবার সকালে কারখানায় প্রবেশ করে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে কারখানার অভ্যন্তরে অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেন। ওইদিন কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন না দিলে বিকেলে শ্রমিকরা চলে যায়। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে শ্রমিকরা কারখানায় এসে গেইটে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পায়। পরে শ্রমিকরা সকাল ৮ টা থেকে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন বকেয়া মার্চ মাসে পরিশোধের কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ বেতন না দিয়ে কারখানায় বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে। এক পর্যায়ে বিক্ষোব্দ শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হোসেন মার্কেট (ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের) সামনের অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে ওই মহাসড়কের উভয়দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে শিল্প ও থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়কে থেকে সরে যাওয়ার আনুরোধ দুপুর বারোটার দিকে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে চলে যায়। পরে ওই মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

অনির্দিষ্টকালের বন্ধের নোটিশে কারখানা কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেন, সোমবার (১০ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টায় কর্মী ও কর্মচারীগণ নিয়ম বর্হিভূতভাবে কাজ বন্ধ করে কারখানার অভ্যন্তরে উশৃঙ্খল আচরণ করে। বারবার কর্মী ও কর্মচারীগণকে কাজে যোগদানের জন্য অনুরোধ করলেও তারা কাজে যোগদান থেকে বিরত থাকে। তাদের এ ধরনের আচরণ অবৈধ ধর্মঘটের শামিল। কর্তৃপক্ষ মনে করছে উশৃঙ্খল কর্মী-কর্মচারীগণ কারখানাতে যে কোন ধরণের নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে। এ পরিস্থিতিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম-আইন ২০০৬ এর ১৩(১) ধারা মোতাবেক মঙ্গলবার (১১ মার্চ) হতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষনা করেছে। কারখানা খোলার অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে কারখানা খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে। তবে নিরাপত্তা সেকশন ও অন্যান্য জরুরী সেবা প্রদানকারী সেকশন উক্ত বন্ধের আওতা বহির্ভূত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *