
ক্রাইম রিপোর্টার:
ওসি সাহ আলম সোনাগাজী মডেল থানায় সেকেন্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকার সময় নিজাম হাজারীর নির্দেশে বিএনপির বহু নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।তার অত্যাচারে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরেতো দুরের কথা এলাকায়ও থাকতে পারতোনা।বিএনপির সাধারন নেতাকর্মীকে ধরে এনে টাকা আদায় করত,টাকা দিতে না পারলে গায়েবী মামলায় ফাসিয়ে দিত।নিজাম হাজারী ও হাজী রহিম উল্যার বিরোধের সময় ওসি সাহ আলম নিজাম হাজারীর নির্দেশে রহিম উল্যার লোকজনকে হয়রানী শুরু করে।সোনাপুর গিয়ে রহিম উল্যার সমর্থককে গ্রেপ্তারের পর এলাকাবাসী তাকে গনধোলাই দেয়।পরে পত্রপত্রিকায় নিউজ হলে নিজাম হাজারী বদলী করিয়ে ফেনীতে নিয়ে পিবিআইতে পোষ্টিং এর ব্যবস্থা করে।পিবিআইতে থাকার সময় ওসি সাহ আলম যুবলীগের এক নেতার সাথে মাদকব্যবসা শুরু করে।সোনাগাজীর নুসরাতের মৃত্যুর ঘটনায় বহু সাধারন মানুষকে ধরে নিয়ে মামলায় ফাসানোর ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ আদায় করে।ক্ষতিগ্রস্তরা তার বিচার চেয়ে সোনাগাজীতে কয়েকবার মানববন্ধন করলেও নিজাম হাজারীর ভয়ে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি।তার বাড়ি বিবাড়িয়া জেলা কসবা উপজেলায়।সে এবং তার পরিবারের সবাই আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে জড়িত।
ঘুষের টাকা ও মাদক ব্যবসার টাকা দিয়ে সে কোটি কোটি টাকার সস্পত্তি অর্জন করে।শেখ হাসিনার পতনের পর রুপ পাল্টে সে ফরিদগঞ্জ থানায় যোগ দিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী শুরু করে।