কুমিল্লা দেবীদ্বারে আওয়ামী লীগের দোসরা ঘুরছে প্রকাশ্যে

নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলা গুল চত্বরে ৪ই আগস্ট রুবেল হত্যা ও সিয়াম হত্যায় আওয়ামী লীগ দোসরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন।

৫ই আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরেও তারা এলাকায় ওপেন ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং দালালী চামচামি করে বেড়াচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী। যারা শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার শান্তির জন্য তাদের সবাইকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বিশেষ সূত্রে জানা যায় কুমিল্লা জেলা দেবীদ্বার উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন এমপি আবুল কালাম আজাদের শীর্ষ সন্ত্রাস সালাউদ্দিন সুটার। তার বাড়ি রাজামেহার শীর্ষ গুন্ডা গৌরীপুরের রাজু এমপি কালামের ছোট ভাই মাদক ও জুয়ারী বাহিনীর গডফাদার মাসুদ গুন্ডা পিতা নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান নবিয়াবাদ তার গ্রাম। এমপি আবুল কালাম আজাদের পা চাটা গোলাম সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মোহাম্মদপুর তার বাড়ি।

৪ই আগস্ট দেবীদ্বার এই সমস্ত অস্ত্রধারি বাহিনী নিয়ে আবুল কালাম আজাদ দেবীদ্বার গুলচত্বর থেকে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করেন।

ছাত্র জনতা উপর হামলাকারী এমপি আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, কুড়াখালের ৪নং ওয়ার্ডের জুয়ারী মাসুম খান, ও ফয়সাল সরকার এবং সালাউদ্দিন সরকার নেতৃত্বে কুড়াখালের মধ্যে মোবারক খান পিতা মুসলেমউদ্দীন। সুজন খান পিতা দনু খান, আমির খান পিতা কাসেম। পাবেল পিতা সবদর আলী, মাসুদ পিতা খোরশেদ আলম খান, রবিউল পিতা শফিক, মানিক পিতা রেনু মিয়া, ওবায়দুল পিতা জাকির মুন্সী, জালাল পিতা পুলিশ আমির খান সিমারপার,দনু খান পিতা সিরু খান, মেহেদী হাসান ইলেকট্রিক পিতা অজ্ঞাত রুবেল খান পিতা হাবিবুর রহমান, হাসেম খান পিতা আ: গফুর, মাসুম খান পিতা খোরশেদ আলম খান, সিরাজুল ইসলাম চেয়ারম্যানের চামচা এবং দালাল রফিক দোকানদার মোহাম্মদপুর বাড়ী। আলামিন তালতলা, আলমগীর বেপারী, অলী, ধামতি।

মগপুস্কুরিনী ৪নং ওয়ার্ডের মাদককারবারী জিন শরীফ সিএনজি চালক পিতা সাহিদ, অটো চালক শরীফ গাঁজাখোর পিতা জালাল, কবির আদমবেপারি এবং দালাল, পিতা তৈয়ব আলী, কামরুল সিএনজি চালক এবং জুয়ারী পিতা ছালাম, এবং সালাম সিরাজুল ইসলাম চেয়ারম্যানের চামচা, মন্তাজ বদমাশ সরদার, প্রমোদ দালাল, জয়নাল আবেদীন দালাল, পুলিশ রুলামিন আওয়ামী লীগের দালাল, রশিদ সরকার হলদি, আরও অন্যান্য। তাদের সাথে বহিরাগত লোক ছিল প্রচুর। বিশেষ করে শীর্ষ সন্ত্রাসী তালিকায়, মাদক কারবারে জড়িত, সমাজ বিরোধী জুয়ারী বিভিন্ন অবৈধ কাজে জড়িত নামগুলো এখানে উপরোক্ত আলোচনায় লিস্ট করা হয়েছে।

দেশ ও সমাজ ধ্বংস হওয়ার মূল কারণ এই আওয়ামী লীগের দোসর ১৫ বছর দালালী চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী গুন্ডামি হয়রানি অত্যাচার করেছিলেন।

এলাকাবাসী বলেন সেনা প্রধানের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সকল প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হোক অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। তা না হলে সমাজ ও দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *