
স্টাফ রিপোর্টা
ভোলার চরফ্যাশনে তারাবি নামাজ পড়তে আসা এক শিশু বলাৎকারের শিকার হয়েছে।শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে তারাবির সময় উপজেলা খাস মহল জামে মসজিদের ৩ তলায় এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে।আহত শিশুটি বর্তমানে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে আহত শিশুর পরিবার।
নির্যাতনের শিকার শিশুটি চরফ্যাশনের একটি মাদরাসার চতুর্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার তারাবির নামাজের সময় (৭.২৩ মি) মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি ১০বছর বয়সী এক শিশুকে নিয়ে চরফ্যাশন খাস মহল জামে মসজিদের সামনে ঘুরা ফেরা করছে। ৭টা ২৯ মিনিটের সময় শিশুটিসহ পাঞ্জাবি টুপিপড়া ওই মুসল্লি মসজিদের ভেতরে ঢুকে। এরপর শিশুটিকে মসজিদের তিন তলায় নিয়ে যায়। রাত ৮টা ২৮ মিনিটের সময় শিশুকে পাঞ্জাবি টুপি খোলা অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে দেখা যায়। পিছন দিয়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে মোটর সাইকেলে দ্রুত শটকে পড়েন অভিযুক্ত ব্যক্তি।নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবার জানান, শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ পড়তে আলিয়া মাদরাসা মসজিদে যায় ভিক্টিম শিশু। সেখানে তার সঙ্গী মামাতো ভাইকে খুঁজে না পেয়ে বেড়িয়ে আসার পথে পাঞ্জাবি-টুপি পড়া এক ব্যক্তি তাকে মোটরসাইকেলে ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে মোটর সাইকেলে তোলে। মাদরাসার মাঠ ও হেলিপ্যাড এলাকায় বেড়ানো শেষে কৌশলে শিশুটিকে খাস মহল জামে মসজিদের তিন তলায় নিয়ে বলাৎকার করে। তারাবির নামাজ পড়তে আসা অন্য শিশুরা বিষয়টি দেখতে পেলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করান। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তির বিচার চেয়েছেন নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবার।এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটি ঝুঁকিমুক্ত উলেখ্য করে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতের কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক।চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও ভিক্টিম পরিবারের পক্ষথেকে কেউ অভিয়োগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।