
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের প্রশিক্ষিকা আখলিমা আক্তার বিউটির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও সরকারি ভাতার অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য অর্ধশতাধিক আনসার সদস্য-সদস্যা যেসব পুজা মণ্ডপে দায়িত্ব পালন করেন, তাদের সম্মানি ভাতা এখনও পরিশোধ করা হয়নি।
ভুক্তভোগী আনসার সদস্যরা জানান, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিনের ভিত্তিতে সম্মানি ভাতা নির্ধারণ করা হয়। অথচ, দায়িত্ব পালনের পর একাধিকবার যোগাযোগ করেও সংশ্লিষ্ট ভাতা বুঝে পাননি তারা। বরং প্রশিক্ষিকা আখলিমা আক্তার বিউটি নানা তালবাহানা ও কৌশলে টাকা প্রদান না করে দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাত করে চলেছেন বলে অভিযোগ।
একাধিক সদস্য অভিযোগ করে বলেন, অফিসে গিয়ে ভাতার টাকার কথা বললে প্রশিক্ষিকা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং উত্তেজিত হয়ে উঠেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রশিক্ষিকার ঘনিষ্ঠ কিছু দালালচক্র অফিসে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, যারা এসব আর্থিক অনিয়মে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছেন।
এক ক্ষুব্ধ সদস্য বলেন, “আমরা দুর্গাপূজার মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দায়িত্ব পালন করেছি, অথচ এতদিনেও সম্মানি পাইনি। একাধিকবার চেষ্টা করেও বিউটির কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। অবশেষে বাধ্য হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে এবং প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ভুক্তভোগীদের আরও দাবি, আনসার বাহিনী সব সময় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কাজ করে থাকে, বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে। কিন্তু এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সদস্যদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। যদি এসব বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে ভবিষ্যতে আনসার সদস্যদের সরকারের কাজে আগ্রহ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে প্রশিক্ষিকা আখলিমা আক্তার বিউটির প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করা হলেও তার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না দিয়ে গনমাধ্যম কর্মীর সাথে ধাপট কটিয়ে বলেন আমার বিষয়ে এসব লিখবেন না।