
নিজস্ব প্রতিনিধি : মো: সেলিম রানা কুমিল্লা
আনন্দ টিভির বরখাস্তকৃত ডিএনই প্রশান্ত দাশ ও শ্যামনগরের প্রতিনিধি তপন কুমারের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ উঠছে। সব অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তাদের ইসকনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকা এবং টাকার বিনিময়ে প্রতিনিধি নিয়োগ ও পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) বানিজ্য।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তপন কুমার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত হলেও তার পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) অফিসিয়াল কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইস্যু করা হয়নি। বরং ডিএনই প্রশান্ত দাশ নিজ ক্ষমতাবলে এবং আর্থিক লেনদেনের ভিত্তিতে তাকে অবৈধভাবে প্রতিনিধির কার্ড দেন। একইভাবে দেশের অন্যান্য স্থানেও একই ধরনের কার্ড বাণিজ্য চলে দীর্ঘদিন ধরে।
তাদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, তারা র্যাব, পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের ‘সংবাদ প্রচার’ ও ‘নেতৃত্বের সাথে সম্পর্ক’ দেখিয়ে চাঁদা দাবি করতেন। এমনকি সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়েরও একাধিক ঘটনা রয়েছে।
রিপোর্টারদের মতে, তারা নিজেরা নিষিদ্ধ ঘোষিত বিতর্কিত ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের সঙ্গে জড়িত হয়ে একটি গোপন জাল বিস্তার করেছেন। চিন্ময় কৃষ্ণের শ্যামনগরে আগমনের সংবাদ তারা কৌশলে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন, যার ফলে ওই অঞ্চলে ধর্মীয় ও সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
জেলা ও জাতীয় পর্যায়ের সাংবাদিকরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, এই দুই ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। তা না হলে ভবিষ্যতে চট্টগ্রামের মতো আরও ভয়াবহ ঘটনা সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সাবেক ও বর্তমান একাধিক আনন্দ টিভি প্রতিনিধিরা বলেছেন, “এদের মতো ব্যক্তিরা সাংবাদিকতা পেশাকে কলুষিত করছে। প্রশাসনের উচিত এদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”