
ক্রাইম রিপোর্টার মোঃ ইয়াকুব আলী চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে সরকারী নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক বিএমডিএ’র রাস্তার ধারে লাগানো ৬০ হাজার টাকা মূল্যের গাছ কাটলেন, এ্যাক্টিভ মডেলে একাডেমীর পরিচালক মাসুদ রানা! ভোলাহাট থানায় মামলার কাগজ জমা দিলেও রেকর্ড ফাইলে স্বাক্ষর করেননি বিএমডিএ ইঞ্জিনিয়ার!
উপজেলা বিএমডিএ ও থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সন্ন্যাসীতলা হতে বিলভাতিয়া বিলের ফলিমারী নামকস্থানে রাস্তার ধারে লাগানো ২টি মেহগনি ও ১টি আমগাছ সরকারী নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে একপ্রকার জোরপূর্বক গাছগুলি কর্তন করে নিয়ে যায়। কর্তনকৃত গাছগুলির মূল্য প্রায় ৬০ হাজার টাকা।
গোপন সূত্রে পাওয়া, এ্যাক্টিভ মডেল একাডেমী (কেজি স্কুল) পরিচালক মাসুদ রানা উপজেলা বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ লোকমান হাকিম ভোলাহাট-রহনপুর রাস্তায় জরুরী কাজে কয়েকটি আমগাছ অকশনে ডাক দিলে উক্ত মাসুদ রানা আমগাছগুলি ক্রয় করে। পরে ঐদিন দিবাগত রাতে মাসুদের ক্রয়কৃত গাছগুলি রাতের আঁধারে কে-বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। প্রেক্ষিতে মাসুদ রানা উপজেলা বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলীকে অভিহিত করেন। কিন্তু তিনি কোন প্রতিকার না পেয়ে বিএমডিএ’র রাস্তার ধারে বিলভাতিয়া বিলের ফলিমারী নামকস্থানে রাস্তার ধারের গাছ ৩টি একপ্রকার জোর করেই কর্তন করে। গাছগুলি কাটার সময় স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা গাছ কাটতে বাধাপ্রদাণ করলেও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করেনি ঐ পরিচালক মাসুদ রানা।
গাছ কাটার ঘটনার ৪/৫ দিন অতিবাহিত হলেও এ ব্যাপারে উপজেলা বিএমডিএ’র প্রকৌশলী লোকমান হাকিম গাছ কর্তনের ব্যাপারে বলেন, এ্যাক্টিভ মডেলের পরিচালক মাসুদ রানা আমাকে গাছ চুরির কথা জানিয়েছে। কিন্তু আমি তার কাছে রহনপুর যাবার রাস্তার গাছগুলি অকশনে ডাক এ বিক্রি করেছি আগে। পরে যদি গাছগুলি কে-বা কারা চুরি করে নিয়ে গেলে আমি তো দায়ীভার নিবো না বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন,
এ ব্যাপারে ভোলাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম সত্বতা স্বীকার করে বলেন, কেউ থানায় মামলা বা এজাহার করলে আমার পক্ষ থেকে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ত্রুটি করি না বলে তিনি জানান (পর্ব ১)