
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ জেলা
১৯৮৪ সালের সময় ঝিনাইদহ মহাকুমা থেকে ঝিনাইদহ জেলা হয়। ঐতিহাসিক স্মৃতির পাতায় লেখা আমাদের এই ঝিনাইদহ জেলা। মানুষ ঝিনাইদহ জেলার নাম শুনলেই এখনো ভয়ে থাকে। এখানে আছে অনেক কিছু। অনেক কবি,গায়োক,গিতিকার লেখক,মরমি কবি, আছে লালন, পাগলা কানাই, সাহিত্যের ভান্ডার আছে ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর।
ঝিনাইদহের ভৌগলিক অবস্থা খুবই সুন্দর।যা অন্যান্য কোন জেলায় নেই।
ঝিনাইদহ জেলায় ভৌগোলিক অবস্থার বিস্তৃতি ২৩° ১৩’ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩° ৪৬’ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৮° ৪২’ পূর্ব দ্রাঘিমা হতে ৮৯° ২৩’ পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত। জেলার আয়তন ১৯৬৪.৭৭ বর্গ কিলোমিটার(৭৫৮.৬০ বর্গ মাইল)। ঝিনাইদহ জেলার উত্তরে কুষ্টিয়া জেলা, দক্ষিণে যশোর জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে রাজবাড়ী জেলা ও মাগুরা জেলা, পশ্চিমে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। ৭টি নদ-নদী প্রবাহিত এ জেলার মধ্য দিয়ে: বেগবতী নদী, ইছামতী, কোদলা, কপোতাক্ষ নদ, নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী ও কুমার নদ। এ অঞ্চলের জলবায়ু উষ্ণ প্রকৃতির ও সমভাবাপন্ন। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২২.২৪° সেলসিয়াস। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৫২.১৯০ সেন্টিমিটার।
প্রাচীনকালে বর্তমান ঝিনাইদহের উত্তর পশ্চিম দিকে নবগঙ্গা নদীর ধারে ঝিনুক কুড়ানো শ্রমিকের বসতি গড়ে ওঠে বলে জনশ্রুতি আছে। সে সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতা থেকে ব্যবসায়ীরা ঝিনুকের মুক্তা সংগ্রহের জন্যে এখানে ঝিনুক কিনতে আসতো। সে সময় ঝিনুক প্রাপ্তির এই স্থানটিকে ঝিনুকদহ বলা হতো। সে সময় ঝিনুক থেকে মুক্তা সংগ্রহের মাধ্যমে এবং ঝিনুক পুড়িয়ে চুন তৈরি এবং তা বিক্রি করে মানুষ অর্থ উপার্জন করতো। অনেকের মতে ঝিনুককে আঞ্চলিক ভাষায় ঝিনেই, ঝিনাই এবং দহ অর্থ বড় জলাশয় ও ফার্সি ভাষায় দহ বলতে গ্রামকে বুঝানো হতো। সেই অর্থে ঝিনুকদহ বলতে ঝিনুকের জলাশয় অথবা ঝিনুকের গ্রাম বুঝাতো। আর এই ঝিনুক এবং দহ থেকেই ঝিনুকদহ বা ঝিনেইদহ, যা- রূপান্তরিত হয়ে আজকের ঝিনাইদহ নামকরণ হয়েছে।অন্য কিংবদন্তি থেকে জানাযায়, এক ইংরেজ সাহেব এই এলাকা দিয়ে নৌকাযোগে নবগঙ্গা নদী পার হচ্ছিলেন। অনেক লোকজন তখন নদী থেকে ঝিনুক সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত ছিল। উপস্থিত লোকদের কাছে সাহেব তখন এলাকাটির নাম জানতে চান। লোকেরা তার কথা বুঝতে না পেরে ভেবে নেন যে নদী থেকে তারা কি জিনিস তুলছে তার নাম জানতে চাচ্ছেন। এই মনে করে লোকেরা সাহেবকে বলেন ঝিনুক বা ঝিনেই। এতে ইংরেজ সাহেব ধরে নেন জায়গাটির নাম ঝেনি। এই ঝেনি শব্দটি পরে ঝেনিদা হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ঝিনাইদহকে আঞ্চলিক ভাষায় এখনও ঝিনেদা বলা হয়। ঝেনিদা, ঝিনেদা আর ঝিনাইদহ যাই বলা হোক না কেন ঝিনাইদহ নামের উৎপত্তি যে ঝিনুক থেকে তা এ অঞ্চলের মানুষের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য।ঐতিহ্যবাহী ঝিনাইদহ গ্রন্থে ঝিনাইদহ সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘‘বারো আউলিয়ার আশীর্বাদপুষ্টঃ গাজী-কালু-চম্পাবতীর উপাখ্যানধন্য; কে.পি. বসু, গোলাম মোস্তফার স্মৃতিবিজড়িত; বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, বিপ্লবী বীর বাঘাযতীনের শৌর্যময়; খেজুর গুড়, কলা-পানের প্রাচুর্যমণ্ডিত; পাগলাকানাই, লালন শাহের জম্মস্থান, কপোতাক্ষ, বেগবতী, চিত্রা, নবগঙ্গার ঝিনুকদহ এক কথায় নাম তার ঝিনাইদহ।’’ ঝিনাইদহের নামকরণের ন্যায় এর অপর ৫টি উপজেলারও রয়েছে নাম করনের বৈচিত্রময় ইতিহাস। শৈলকুপাঃশৈলকুপার কুমার নদীতে একসময় নাকি প্রচুর পরিমাণে শৈলমাছ পাওয়া যেত এবং তা সাধারণ কুপিয়ে মারা হতো। এজন্যেই এর নাম হয় শৈলকুপা। আবার অন্যদের মতে এখানে শৈলগুল্প বেশি থাকার কারণে এ অঞ্চলকেব শৈলকুপা নামে অভিহিত করা হয়। শৈলকুপা বহু পূর্বে ফরিদপুর জেলার মধ্যে ছিল।মহেশপুরঃভৈরবের তীরে অবস্থিত মহেশপুর উপজেলার আদিনাম যোগীদহ। পরবর্তীতে ১১০৭ সালে হিন্দু দেবতা মহেশপুর ঠাকুরের মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আদিনাম পরিবর্তিত হয়ে মহেশপুর হয়। কেউ কেউ বলেন রাজা মহেশ চন্দ্রের নামানুসারে এলাকার নাম মহেশপুর হয়। অন্য জনশ্রুতি হল ঐ অঞ্চলের রাজত্ব এক জেলে রাজার হস্তগত হলে তার ছেলে ‘‘মহেশ’’ এর নামানুষারে মহেশপুর নামকরণ হয়। মহেশপুর ভারতের বনগাঁও মহাকুমার একটি অন্যতম অংশ ছিল। ১৯৪৭ সালে মহেশপুর ঝিনাইদহ মহাকুমার অন্তর্গত হয়। মহেশপুরকে খাদ্যভাণ্ডার বা রত্নভাণ্ডার বলা হয়।কালীগঞ্জঃকালীগঞ্জ উপজেলার নামকরণের পিছনে জনশ্রুতি আছে তা হলো এই বাজারে বিখ্যাত কালিমন্দিরকে অবলম্বন করেই কালীগঞ্জ নাম করন হয়।কোটচাঁদপুরঃজনশ্রুতি আছে, জঙ্গলে ঘেরা এ অঞ্চলে চাঁদফকির নামের এক দরবেশ আস্তানা গড়েন। তার নামে এর নাম হয় চাঁদপুর। মোঘল আমলে ১৬১০ সালে একটি কোর্ট নির্মিত হয়। আর চাঁদপুর নামের আগে কোট শব্দটি বসিয়ে এর নাম হয় কোটচাঁদপুর। ব্রিটিশ আমলে এখানে কোর্ট ছিল এবং ১৮৬২ সাল পর্যন্ত এটি মহকুমা বাণিজ্য নগরী হিসেবে খ্যাত ছিল।হরিণাকুন্ডুঃলোকমুখে প্রচার আছে ‘‘অভয়কুন্ড নামে এক ইংরেজ কর্মচারীর অত্যাচারী পুত্র হরিচরণ কুণ্ডুর নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম হয় হরিণাকুন্ডু ।
ঝিনাইদহর ঐতিহ্য বিচিত্র ময় সুন্দর দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো আমি ঢাকা থাকি আমার নাম অমত বশির উদ্দিন এরিয়াস ঝিনাইদহের খবর দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো আমার বাড়িও ঝিনাইদহ
দৈনিক আজকের গোয়েন্দা সংবাদ
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ জেলা
মোঃ রুহুল আমিন
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ
ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য ভাই। আমি নতুন এই নিউজ প্লাটফর্মে। আপনাদের সকলের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে। অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই।
বৈচিত্রময় ইতিহাস ঝিনাইদহ জেলা নামকরণের ন্যায় পাঁচটি উপজেলার নাম করন।
এই নিউজ আপডেট টি আমার। কামরুল ইসলাম ভাই এর নয়।
অনেক কষ্টে অর্জিত স্বপ্ন ময় আমার নিজের লেখা নিউজ।
ধন্যবাদ সবাইকে
ঝিনাইদহর ঐতিহ্য বিচিত্র ময় সুন্দর দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো আমি ঢাকা থাকি আমার নাম অমত বশির উদ্দিন এরিয়াস ঝিনাইদহের খবর দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো আমার বাড়িও ঝিনাইদহ
হৃদয়ে মহেশপুর ঝিনাইদহ
মহেশপুরের পাশে ভৈরব নদী না কপোতাক্ষ নদ😪
মহেশপুর আমার বাড়ি, এটা কপোতাক্ষ নদীর তীরে অবস্থিত। বর্তমানে নদী বিলীনের পথে প্রায়।
বৈচিত্রময় ইতিহাস ঝিনাইদহ জেলা নামকরণের ন্যায় পাঁচটি উপজেলার নাম করন।
এই নিউজ আপডেট টি আমার। কামরুল ইসলাম ভাই এর নয়।
অনেক কষ্টে অর্জিত স্বপ্ন ময় আমার নিজের লেখা নিউজ।
ধন্যবাদ সবাইকে
ঝিনাইদহের ইতিহাস পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আমি ঢাকা’তে থাকি, আমার জন্মস্থান ঝিনাইদহ জেলার নলডাঙ্গা গ্রামে। নলডাঙ্গা, ঝিনাইদহ জেলার একটি ঐতিহাসিক স্থান, ললডাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে বেগবতী নদী,আমার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে এখানেই। এখনো সময় সুযোগ পেলেই ছুটে যাই আমার প্রিয় জন্মভূমি ঝিনাইদহ জেলার নলডাঙ্গাতে।
ভাল লাগল , ঝিনাইদহ জেলার সৃষ্টি কথা ও নাম করণের ইতিহাস জানতে পেরে ।