
আব্দুল মোমিন,নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার খোর্দ্দবয়রা গ্রামের মুহাম্মাদ আনিসুর রহমান তার অন্যান্য চার ভাই ও চার বোনের পক্ষে অভিযোগ করেছেন যে তার নানাবাড়ি পার্শ্ববর্তী রায়গঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হাতেম হাসিল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান সরকার সাতাশ দশমিক নয় তিন একর চাষযোগ্য জমি ও বসতভিটা রেখে চার পূত্র ও চার কন্যা ওয়ারিশ বিদ্যমানে ১৩৯৪ বাংলা সালের ১৪ই ফাল্গুনে পরলোক গমন করেন। আব্দুর রহমান সরকারের প্রথম স্ত্রী এক পূত্র ও এক কন্যা জন্ম দিয়ে স্বামীর জীবিতাবস্থায় মারা যান। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান সরকার দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী তিন পূত্র ও তিন কন্যা জন্ম দেন ও দুই পূত্র ও তিন কন্যা ওয়ারিশ বিদ্যমানে মৃতু্যবরণ করেন। তার জ্যেষ্ঠ পূত্র আবুল কালাম সরকার মায়ের জীবিতাবস্থায় মারা যান। অভিযোগকারী মুহাম্মাদ আনিসুর রহমানের অভিযোগ অদ্যাবধি তার নানার পুরো সম্পত্তির কোনো প্রকার বণ্টন নামা দলিল রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হয় নাই। বর্তমানে অভিযোগকারীর সর্বকনিষ্ঠ মামা এমদাদুল হক সরকার বাড়িতে অবস্থান করেন এবং তিনিই জমিজমা দেখভাল করছেন এবং মৌখিকভাবে কিছু জমি অন্যান্য ওয়ারিশদের দিয়েছেন এবং তিনি নিজে রাস্তা সংলগ্ন তিন ফসলী জমিগুলো নিজের নামে খারিজ করে নিয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার যোগসাজশে যা ভূমি আইন পরিপন্থী বলে ভূমি আইন বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। এমতাবস্থায় অভিযোগকারী পাঁচ বছর যাবৎ তার মায়ের অংশের সম্পত্তির জন্য অনুনয় বিনয় কাকুতি মিনতি করেও এবং ঘরোয়াভাবে একাধিকবার বৈঠক করেও কোনো কাজ হয়নি। তার মামা এমদাদুল হক সরকার জমি দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় ও আদালতের মাধ্যমে জমি উদ্ধার করতে বলে। এমতাবস্থায় অভিযোগকারী আনিসুর রহমান নিরুপায় হয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার শরণাপন্ন হয়েছেন।