
স্টাফ রিপোর্টার (কুষ্টিয়া)
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গাছিয়া দৌলতপুর গ্রামে মোঃ রাসেল প্রামানিকের স্ত্রী মোছাঃ মিম খাতুন, ২১/০৪/২০২৫ ইং তারিখে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আই সি ইউ ফাঁকা না থাকার কারণে সেখান থেকে রেফার্ড করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আই সি ইউ তে ভর্তি করা হয়। মোঃ রোকনুজ্জামান আরও বলেন, আমি ২১/০৪/২০২৫ ইং তারিখ থেকে ২৫/০৪/২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত তার দেখভাল করার জন্য এই রোগীর সঙ্গেই ছিলাম। রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫/০৪/২০২৫ ইং তারিখে মিম খাতুন মৃত্যুবরণ করেন । রাসেল ও মিম দম্পতির মেয়ে মোছাঃ রোকসানা খাতুন (১২) বলেন, আমার মা যেই দিন গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, আমার বাবা রাসেলের সঙ্গে কোন ঝগড়া ঝামেলা মারামারি হয়নি। আমার মা মোবাইলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের লোকের সঙ্গে কথা বলতো। আমার বাবা নিষেধ করলে আমার মা অনেক রাগারাগি করত। বিগত সময়ে এমন সমস্যা হয়েছিল তিনবার, পারিবারিকভাবে আমার নানা-নানি এবং দাদা-দাদী ও বাবা ৫০ টাকা দামের ইষ্টামের উল্টো পিঠে লিখিতভাবে এ বিষয়টা মিটিয়ে নেন। কিন্তু আবার পুনরায় একই দোষ করার কারণে হয়তোবা আমার মা গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। আমার বাবা দাদা-দাদী সবাই নির্দোষ, তাদের নামে মামলা করা উচিত হয়নি। আমি মেয়ে হয়ে এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি এবং আমার বাবা, দাদা- দাদী তারা নির্দোষ। আমার মা কখনো আমাকে নিয়ে এক ঘরে ঘুমাতো না । আমি যখন মায়ের কাছে যেতাম, মা ফোন নিয়ে অন্য ঘরে চলে যেত। আমি মাকে অন্য পর পুরুষের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে নিষেধ করলে সে আমাকে অনেক বকা বাধ্য ও মারধোর করত। এলাকাবাসী বলেন, এর আগে এই মেয়ে মোবাইলে অনেক জায়গায় সম্পর্ক করেছিল। পরবর্তীতে তার স্বামী এবং মেয়ে জানার পরে তারা পারিবারিকভাবে বিষয়টা মিটিয়ে নেন, নেওয়ার পরে সুন্দর সংসার করতে থাকে তারা। কিন্তু পুনরায় আবার একই কাজে লিপ্ত হওয়ার কারণে হয়তোবা বিষয়টি জানাজানি হলে কাউকে মুখ দেখাতে পারবে না বলেই সে গলায় দঁড়ি দিয়েছে বলে আমরা মনে করি। আমাদের জানামতে রাসেলের কোন অভাব নেই, রাসেল একজন নিতান্তই খুব ভালো মনের ছেলে এবং ভালো মানুষ। তার নামে এই মিথ্যা মামলাটা দেওয়া উচিত হয়নি বলে আমরা মনে করি এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
