
মো: আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দোকান ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে প্রধান শিক্ষক এ বি এম কামরুজ্জামান ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন।বড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন দোকান ভাড়া বাবদ নড়াগাতি থানার মহাজন উত্তর পাড়ার মৃত ওমেদ মোল্যার ছেলে মিরু মোল্যা, বড়দিয়া বাজারের একজন ব্যাবসায়ী।তিনি ৮০ হাজার টাকায় ওই বিদ্যালয়ের দোকান ভাড়া বাবদ ডিড এগ্রিমেন্ট করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিএম কামরুজ্জামান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান ওই দোকানদারের নিকট থেকে দেড় থেকে দুই মাস আগে দোকান ভাড়া বাবদ ৪০ হাজার টাকা অতিরিক্ত গ্রহণ করে নিজ পকেটে রেখে দেন।
গত ১৫ এপ্রিল তারিখে প্রধান শিক্ষক বিএম কামরুজ্জামান স্টাম্পে ৮০ হাজার টাকা অগ্রীম এবং মাসিক ৩ হাজার ৪ শ টাকা তিন বছরের জন্য উভায় পক্ষ চুক্তি নামায় স্বাক্ষর করেন। দোকানদার মিরু মিয়া বলেন আমি প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানকে দেড় মাস আগে ৪০ হাজার টাকা দোকান ভাড়া বাবদ দিয়েছি।এই টাকা না দিলে প্রধান শিক্ষক আমাকে দোকান ভাড়া দিবেন না তাই ব্যাবসার কারনে বাধ্য হয়ে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি।আমি চুক্তি নামায় স্বাক্ষরের দিন প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানকে নগদ ৮০ হাজার টাকা প্রদান করি সেই টাকা চুক্তি নামায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন দেড় মাস আগে আমার নিকট থেকে নেওয়া ৪০ হাজার টাকা লিপিবদ্ধ করেন নাই প্রধান শিক্ষক। তাহলে প্রধান শিক্ষক কিভাবে এ টাকা তছরুপ করলেন।এনিয়ে এলাকায় বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী মিরু মোল্যার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এবং তিনি আরো বলেন হেড স্যারকে ৪০ হাজার টাকা প্রদান না করলে আমাকে ঘর ভাড়া দিবেন না। আমি ব্যাবসার কারনে প্রধান শিক্ষককে গোপনে দেড় মাস আগে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক স্ট্যাম্পে ৮০ হাজার টাকা লিখেছেন। এ ব্যাপারে বড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিএম কামরুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের নিউজ না করার অনুরোধ করেন। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভুঁইয়ার সাথে কথা তিনি বলেন এঘটনা আমাকে কেউ জানায় নাই। তবে ঘটনা দুঃখজনক।ক্ষতিয়ে দেখে আইনগত ব্যাবস্থা নিবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু রিয়াদ বলেন একজন প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে এটা আশা করা যায় না।তবে কোন অভিযোগ বা পত্রিকায় খবর ছাপানো হলে আমি আইনগত ব্যাবস্থা নিবো।