
স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের বামনপাড়ায় বিএনপির অফিস উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দুই গ্রুপ এখন মুখোমুখি। পাল্টাপাল্টি সমাবেশ আর অফিস উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনা যেকোন সময় ভয়াবহ সংঘর্ষে রুপ নিতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার দিনভর চলে এই উত্তেজনা। সংঘর্ষ আর সহিংসতা এড়াতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বামনপাড়া এলাকায় উভয় গ্রুপের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষনা করে সর্তক অবস্থান নেয়। ফলে পন্ড হয়ে যায় বিএনপির দুটি গ্রুপেরই অনুষ্ঠান।
গত ২৫ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বামনপাড়া এলাকার একটি শো রুমে হামলা চালিয়ে ব্যাপক তান্ডব চালায়। ১০টি এলইডি টেলিভিশন সহ ব্যাপক লুটপাট করে নিয়ে যায়। যার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা। এঘটনার পর চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জানবার হোসেন কে ১ নং আসামী করে থানায় মামলাও রেকর্ড হয়। এ ঘটনার পর থেকেই প্রকাশ্যে আসে চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির দুটি গ্রুপ। উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে পড়ে পুরো চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন সহ শহরে। এক দিকে ব্যারিষ্টার রাগিব রউফ চৌধুরী’র গ্রুপ অন্য দিকে ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলম গ্রুপ। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় লুটপাট হয়ে যাওয়া শো রুমের সন্নিকটেই বিএনপির অফিস উদ্বোধনের কথা ছিল। এ নিয়ে গত ৭ দিন ধরেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করে বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার রাগিব রউফ চৌধুরী’র গ্রুপ’র সক্রিয় নেতা চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেজবাউর রহমান এবং তার অনুসারীরা। বর্ণাঢ্য এই অনুষ্টানের প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাজাহান আলী বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভেড়ামারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এস এস আল হোসাইন সোহাগ সহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি নেতা মেজবাউর রহমান বলেন, বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠান পন্ড করতেই নানা ষড়যন্ত শুরু করে জানবার চেয়ারম্যান। সেই ষড়যন্ত্রে ব্যার্থ হয়ে নামকাওয়াস্তে একটি সমাবেশ আহবান আমাদের অনুষ্ঠানের অদূরেই। আমরা চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির একটি অস্থায়ী অফিস উদ্বোধন করতে চাচ্ছিলাম। উপজেলা বিএনপি ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাদেরও অতিথি করা হয়েছিল। আমরা প্রায় ১০ দিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই জানবার হোসেন আমাদের অফিসের অদূরেই একটি সভা ডেকে বসে। যার ফলে এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি অনুকুলে নিতেই অফিস উদ্বোধন না করতে আমাদের অনুরোধ জানাই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস উদ্বোধন করছি না।
অপরদিকে চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম বলেন, বামনপাড়া এলাকায় আমাদের একটি পূর্ব নির্ধারিত প্রগাম ছিল। আবার অন্য একটি গ্রুপ তারাও প্রগাম ডেকে ছিল। পরে পুলিশের অনুরোধে আমরা অনুষ্টান বন্ধ করেছি।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের বামনপাড়ায় দুটি পক্ষের অফিস উদ্বোধন ও সভা ডাকায় বিশৃঙ্খলা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই দুটি পক্ষকেই আমরা অনুরোধ করেছি নিজ নিজ কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে।