
আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী সুমন ক্রাইম রিপোর্টার কমলগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
ফেসবুকে পেজের মাধ্যমে প্রতারণা চালিয়ে তান্ত্রিক আসাদ আহমেদ চৌধুরী নামক মিথ্যা পরিচয় ধারণ করে নারীদের বশীকরণ ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আত্মসাৎকারি এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গ্রেফতারকৃত আসামির নাম নাম মোঃআব্দুস সবুর (২৫) পিতা -মো তপন মিয়া সাং মোকান থানা বুড়িচং জেলা কুমিল্লা। আব্দুস সবুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে সাতটি পেজে খুলে নিজেকে ভারতীয় কামরূপ কামাখ্যার তান্ত্রিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। এসব পেজে তিনি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেওয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করতেন। যেমন দাম্পত্য কলহ প্রেমের জটিলতা কঠিন রোগ মুক্তি বিয়ে না হওয়া ইত্যাদ। ভুক্তভোগীরা এসব পেজে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি তাদেরকে whatsapp নাম্বারে যুক্ত করতেন। ভুক্তভোগীরা সঙ্গে whatsapp যোগাযোগ শুরু হলে সে প্রথমেই আশ্বস্ত করতো কোন টাকা লাগবেনা শুধু আধ্যাত্মিক নিয়ম মেনে চললেই হবে। এরপর ধাপে ধাপে শুরু হতো প্রতারণার অভিনব কৌশল। প্রথমে কাফনের কাপড় চুল বা অন্য কোন বিশেষ অন্য কেনার জন্য টাকা দাবি করত। বলতো এসব আচার করতে হয় এবং এগুলো হল জিনের প্রভাব যাবে না। সবচেয়ে ভয়াবহ প্রতারণায় ধাপ ছিল পটাশিয়াম মিষ্টি নামক এক অভিনব ফাঁদ। ভুক্তভোগীদেরকে বলা হতো গভীর রাতে গোসল করে ধ্যান করতে এবং তার দেওয়া নিয়মে হাতে পটাশিয়াম ও সেই হাতেই মিষ্টি রাখত। জানা তথ্য মত পটাশিয়াম মিষ্টির সংমিশ্রণ রাসায়নিক বিক্রিয়াল হালকা বিস্ফোরণ বা আগুন সৃষ্টি হতো হলে হাতে পুসকা পড়তো।এই বয় আতঙ্ককেব্যবহার করে প্রতারক বলতো তুমি জ্বিনের রুশে পড়েছ। এখন আরেকটা উচ্চতর সাধনা করতে হবে। এজন্য তোমার নগ্ন শরীরে বিশেষ তেল পনি মেয়েকে আমার নির্দেশ অনুযায়ী ছবি বা ভিডিও পাঠাতে হতো ব্ল্যাকমেইল। ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করত। ভিকটিম রা মান সম্মান সামাজিক বিবেচনায় অনেকেই মুখ খুলতে সাহস করতো না বরং একপর্যায়ে আবারো অর্থ দিতে বাধ্য হতেন এই ধরনের শিকারদের একজন সেলিনা আক্তার (ছদ্ম নাম) গত ২০/০১/২০২৪ খ্রি তারিখে ফেসবুকে তান্ত্রিক সামাদ চৌধুরী নামক একটি পেইজের মাধ্যমে আসামি সঙ্গে পরিচয় হন। আসামি নিজেকে তান্ত্রিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে বাদিনীর সঙ্গে তার স্বামীর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের করে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায়ে এক পর্যায়ে আসামির মোবাইল ফোন বাদিনীর সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিকাশ ও নগদে মাধ্যমে মোট ১৪,১২,৮০০/১৪ লক্ষ ১২ ৮০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী উক্ত ঘটনায় কুমারখালী থানায় মামলার নং ১তারিখ ১/০২/২০২৫ খ্রি রুজু করেন। মামলাটি তদন্তবার সিআইডি গ্রহণ করার সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টার পি সি সি এর এএসপি আব্দুল্লাহ আল মামুন সিপিএম এর নেতৃত্বে একটি টিম গত ২৭/০৫/২০২৫ খ্রি তারিখে রাত ১১.০০ ঘটিকায় কুমিল্লায় বুড়িচং থানাধীন মোকাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিকে গ্রেফতার করে। এই ধরনের সাইবার প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে সিআইডির অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তান্ত্রিক পরিচয় বা আধ্যাত্মিকতার নামে যেকোনো ধরনের পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে সংযোগ স্হাপন করা থেকে সাবধান হোন এবং যেকোনো প্রকার ডিজিটাল প্রতারণা অথবা সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে সাইবার পুলিশ সেন্টার সিআইডির ঢাকার নিম্নলিখিত হট লাইন নাম্বারে যোগাযোগ করবেন। হট লাইন নম্বর সমূহ ০১৩২০০১০১৪৬/০১৩২০০১০১৪৭/০১৩২০০১০১৪৮