বিকাশ এজেন্টের নামে অবৈধ কালো টাকার পাহাড় গড়েছেন সফল এই উদ্যোক্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত বৃহত্তম এক বাজার পিপুলবাড়িয়া বাজার।গ্রাহক সেবা সেন্টার “সিয়াম টেলিকম” বিকাশ,নগদ,রকেট,উপায় এজেন্ট সেবার পয়েন্ট এর পরিচালক মোঃ রাসেল মিয়া।মোবাইল ব্যাংকিং এ টাকা লেনদেন ও গ্রাহক সেবার অন্তরালে করে যাচ্ছেন,সুদের টাকা লেনলেন,হুন্ডি তে বিদেশ থেকে টাকা লেনদেন এর পাশাপাশি বন্ধকি ব্যবসা। এর মাঝে সময় পেলে চলে তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম।১৪.০৫.২০২৫ ইং তারিখ এ লোমহর্ষক এক ঘটনা জন্ম দেন এই নরপিচাশ।
ভিকটিম
মোঃ মাহফুজুল (৩৮), পিতা-মৃত ইনছাব আলী, সাং-পূর্ব লক্ষীকোলা মধ্যপাড়া, খানা-রায়গঞ্জ, জেলা-সিরাজগঞ্জ, বর্তমানে পিপুলবাড়ীয়া বাজার (আঙ্গুরের বাসার ভাড়াটিয়া), খানা ও জেলা-সিরাজগঞ্জ, এনআইডি নং-৮৮২৬১০ ৬৬১৬৪১৫, মোবাঃ ০১৭১১-৩৫১৩১২, আপনার খানায় আসিয়া এই মর্মে বিবাদী ১। মোঃ রাসেল (৩৫), পিতা-আব্দুর রাজ্জাক, সাং-বিলশিলপাট্টা সেনপাড়া, ইউপি-ছোনগাছা, ২। মোঃ মনিরুল ইসলাম (৪২), পিতা-মোঃ আব্দুল খালেক, ৩। মোঃ শিপন (৪৮), পিতা-মৃত তোজাম, উভয় সাং-হরিনা, ইউপি-বাগবাটী, সর্ব খানা ও জেলা-সিরাজগঞ্জ সহ আরো ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, উপরোক্ত বিবাদীগন অত্যন্ত উশৃংখল প্রকৃতির। আমার শিশু ছেলে মোঃ মাহাদি হাসান (১২) তারাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জে ৬ষ্ট শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। ইতিপূর্বে ২নং বিবাদীর ছেলে এহছান (১২) তার বাবার টাকা চুরি করে। ২নং বিবাদী সন্দেহ করে যে, আমার ছেলে মোঃ মাহাদি হাসান ২নং বিবাদীর ছেলের সহিত জড়িত আছে। এই সন্দেহ করিয়া গত ইং ১৪/০৫/২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় উপরোক্ত ১নং বিবাদী সিরাজগঞ্জ থানাধীন বাগবাটী ইউনিয়নের পিপুলবাড়ীয়া বাজারস্থ আমার ভাড়া বাসার সামনে থেকে আমার উক্ত শিশু ছেলেকে ডাকিয়া সিরাজগঞ্জ থানাধীন বাগবাটী ইউনিয়নের পিপুলবাড়ীয়া বাজারস্থ ৩নং বিবাদীর তিনতলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের দোতালায় বিবাদীর ভাড়া দেওয়া ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর একটি কক্ষে নিয়া যায় এবং আমার শিশু ছেলেকে উক্ত কক্ষের মধ্যে অন্যায়ভাবে আটক করিয়া রাখিয়া ২নং বিবাদীর ছেলে এহছান এর সহিত টাকা চুরির ঘটনায় আমার ছেলে জড়িত আছে মর্মে মিথ্যা অপবাদ দিয়া আমার ছেলেকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি দেয়। এমনকি আমার ছেলেকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করিবে বলিয়াও হুমকি দেয়। এছাড়াও বিবাদীগন আমার ছেলের হাত ধরিয়া টানাটানি করে এবং ছেলের কান ধরিয়া উঠাবসা করায়। আমার ছেলে বাসায় আসতে চাহিলে তারা আমার ছেলেকে ছাড়ে না। বিবাদীগন এইভাবে দীর্ঘ প্রায় ০১ ঘন্টা যাবৎ আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে আটক করিয়া রাখিয়া শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের পরে রাত্রি অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় ৩নং বিবাদী আমাকে মোবাইলে ফোন করিয়া সংবাদ দিলে আমি সেখানে গিয়া আমার ছেলেকে উদ্ধার করিয়া নিয়া আসি এবং আমার ছেলের মুখে ঘটনা বিস্তারিত অবহিত হই।
এই নরপিচাশ রাসেল এর বিরুদ্ধে পূর্বেও
এমন একাধিক ঘটনার বিবরণ পাওয়া গেছে ও বিভিন্ন তথ্য রয়েছে।
বাদী মোঃ মাহফুজুল ঘটনার দিন সিরাজগঞ্জ সদর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে,অভিযোগের ভিত্তি তে কোনো আইনী সহযোগিতা দেওয়া হয়নি পরিবার টিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *