যে কারনে ধরা পড়ছেনা রাজশাহী ড্যান্ডিখ্যাত গুড়ি পাড়ার মাদক মাফিয়ারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ বাহিনীকে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়স্থল বলে মনে করে,বিপদে তাদেরই সহায়তা সাহায্য চায়। কিন্তু সেই সাথে উল্লেখ্য যে পাঁচ ই আগস্ট পরবর্তী পুলিশ অনেক মানবিক ও প্রশংসা মূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে যা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।কিন্তু সেই বাহিনীর কয়েকজন সদস্যের নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার কারণে পুলিশের অনেক প্রশংসামূলক কর্মকাণ্ড ধামাচাপা পড়ে যায়।

পুলিশ সদস্যদের এভাবে অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা পুলিশের পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মনে করছেন অপরাধ ও সমাজ বিশ্লেষকরা,সম্প্রতি এমনই দুর্নীতিবাজ এক পুলিশ কর্তার সন্ধান পাওয়া গেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিয়াডাঙ্গা থানায়।এই পুলিশ সদস্যর নাম এসআই ফারুক আহমেদ।তিনি রাজশাহী কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন কেশবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ।এর আগে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ছিলেন।এস আই ফারুক আহমেদের দেশের বাড়ি গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে। তিনি গত ৩০-১২-২৪ ইং তারিখে কেশবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন,তার বিপি নং – ৭৫৯৩০৯১৭৬৮।

এস আই ফারুক কিভাবে মাদকের সাথে সম্পৃক্ত, রাজশাহী গুড়িপাড়া এলাকায় এক শ্রেণির দালালরা কেশবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফারুক আহমেদকে ম্যানেজ করে মাদকের চোরাচালান অব্যাহত রেখেছেন।

যে কারণে ড্যান্ডিখ্যাত গুড়িপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা বা পাচার কোনো ভাবেই বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিমত রয়েছে স্থানীয়দের,কিন্তু প্রশ্ন আসতেই পারে,এস আই ফারুক কিভাবে মাদকের সাথে সম্পৃক্ত,আসুন এবার এর উত্তর খোঁজা যাক, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ২০২৪ সালের তথ্যানুযায়ী গুড়িপাড়ায় মাদক কারবারির সংখ্যা প্রায় ২ শত‘র উপর।

বর্তমানে সংখ্যা আরোও বেশী,সেই অনুযায়ী গড়ে যদি প্রতিদিন এক জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয় তবে ২ থেকে ৩ মাসে গুড়িপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসার কথা,কিন্তু কেশবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফারুক কম বেশী সকল মাদক ব্যবসায়ীর সাথে মাসিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন,বিধায় গুড়িপাড়া এলাকা থেকে মাদকের বড় চালান তো দূরের কথা ছোট মাদকের চালানও ধরা পড়েনা,এটা প্রকাশ্য দিবালোকের সত্য। আর বাকী থাকলো মাদকের গড ফাদারদের কথা, তারা তো সকলেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
কেশবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফারুক আহমেদ যোগদানের পরে ধরা পড়েনি মাদকের কোন গডফাদার।

অনুসন্ধানে আরোও জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর মাদকের ড্যান্ডিখ্যাত গুড়ি পাড়ার মাদক কারবারি হিরা (ইয়াবা),শামসুদ্দি ঠাকুর (হিরোইন ইয়াবা),পারভিন (হিরোইন ইয়াবা),গোলাম, রজব (হিরোইন ইয়াবা)এর কাছ থেকে মাসিক মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে থাকেন,নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক মাদক ব্যবসায়ী জানান,ফারুক স্যারের সাথে কম বেশী সবারই ‘মিট আপ’ রয়েছে।

রাজশাহী কোর্ট এলাকায় ফুটপাতে চাঁদাবাজি এক মাত্র এ কারণেই যুব সমাজ হচ্ছে বিপদগামী,নষ্ট হচ্ছে,পরিবেশ দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা বিরাজ করায় অভিভাবক মহলে চরম তোলপাড় শুরু হয়েছে। চোঁখের সামনে দিয়ে একমাত্র সন্তান নেশাগ্রস্ত হয়ে বিপথগামী হয়ে পড়লেও অভিভাবকদের যেন কোনো করণীয় নেই,তাই মাদক বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন রাজশাহীর সর্বস্তরের অভিভাবকরা।

সেনা অভিযানে গাঁ ঢাঁকা দিয়েছে অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ী,অন্যদিকে রাজশাহীর ড্যান্ডিখ্যাত গুড়িপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা বা পাচার কিছুটা বন্ধ হয়েছে সেনাবাহিনীর কয়েক দফা অভিযানের পরে,সেনা অভিযানকে কেন্দ্র করে গা ঢাকা দিয়েছে অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ী,এখন আবারো প্রশ্ন আসতে পারে পুলিশ এখানে মাদক দমন করতে সক্ষম সেখানে বারবার কেন সেনাবাহিনীকেই আসতে হচ্ছে,অবশ্য সেনাবাহিনীর এই অভিযান কে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে কেশবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান,এই ঘটনাগুলো সত্য নয়,তবে মাদক বিষয়ে রাজশাহীর সুশীল সমাজ মনে করছে , কেশবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুকের মত একজন পুলিশের কর্তা যদি মাদক ব্যবসায়ীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে তবে সেই এলাকায় মাদক বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব কিভাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *