মিরপুরে ভাটা মালিক ও মৎস্য চাষী কাউসার হোসেনের পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ মেরে দিল দুর্বৃত্তরা

স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়া জেলা।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার, ধুবইল ইউনিয়ন, কাজিপুর গ্রামে ইটভাটা মালিক ও মৎস চাষী মোঃ কাওসার হোসেন (৪২), পিতা- মৃত রজব আলীর পুকুরের মাছ গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মেরে দিল দুর্বৃত্তরা। এমনই অভিযোগ করে কাওসার হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আজ ০৭/০৬/২০২৫ ইং তারিখ শনিবার আমার পুকুরে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মাছ মেরে দেয় দুর্বৃত্তরা । কাওসার হোঐ বলেন, আজ সকালে ঈদের নামাজ শেষ করে বাড়িতে এসে কুরবানীর পশু জবাই করে পরিষ্কার করতে ছিলাম, সে সময় দেখলাম আমার পুকুরের দিক থেকে ইসরাইল, জিসান, আরমান উঠে আসছে। এই মাছ মেরে দেওয়ার পেছনে তাদেরই হাত থাকতে পারে আমার সন্দেহ। আমার স্ত্রীর কুলের আত্মীয় লালন, পিপুল, রফিকুল এদের কে নিয়ে ইসরাইল, জিসান, আরমান কয়েকদিন ধরে আমার এলাকা কাজীপুর ঘোরাঘুরি করতে দেখছি। কাওসার হোসেন আরো বলেন, ইসরাইল, জিসান, আরমান ইতিপূর্বে এরাই আমাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আল্লার অশেষ মেহেরবানীতে আমি প্রাণে বেঁচে যাই। তাদের নামে কেস চলমান আছে।
কাওসার হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,
আমি একজন ইটভাটা মালিক ও মৎস চাষী। আমি বিভিন্ন জায়গায় পুকুর/জলাশয়ে মাছ চাষ করি। আমি আমার গ্রামের আমার ইট ভাটার সাথে ২টি পুকুর আছে, ১টি ৭ বিঘা ও ১টি ৪ বিঘা। আমার উক্ত পুকুরে বিভিন্ন প্রকার মাছ চাষের জন্য মাছ ছাড়িয়া দিই। আমার উক্ত পুকুর আমি সহ আমার পরিবারের সকলে মিলিয়া পাহারা সহ দেখভাল করি। প্রতিদিনের ন্যায় গত ইং ০৬/০৬/২০২৫ তরিখ রাত অনুমান- ১২.০০ ঘটিকার সময় আমি আমার উক্ত পুকুর দেখভাল করে আমি আমার বাড়ীতে চলে যায়। তখন আমার উক্ত পুকুর ঠিকই ছিলো। প্রতিদিনের ন্যায় ইং- ০৭/০৬/২০২৫ তারিখ বেলা অনুমান-১২.০০ ঘটিকার সময় আমার উক্ত পুকুরের মাছ দেখভাল করার জন্য পুকুরে গেলে দেখতে পাই, আমার ২টি পুকুরের সকল মাছ মরে ভাসছে। আমার ধারনা ইসরাইল, জিসান, আরমান বিবাদীরা ইং-০৬/০৬/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান-১২.০০ ঘটিকা হইতে ইং- ০৭/০৬/২০২৫ তারিখ বেলা ১২.০০ ঘটিাকার মধ্যে যেকোন সময় আমার উক্ত পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়া আমার পুকুরের সকল মাছ মেরে দিয়েছে। যাহার ফলে আমার ক্ষতির পরিমান অনুমান-৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা। এ বিষয়ে মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *