বিনোদনের নামে শোষিত হচ্ছে সাধারন দর্শনার্থীরা

রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:

মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলাধীন ইশিবপুর ইউনিয়নে ইশিবপুর বাজার ও ইশিবপুর হাইস্কুলের পাশে কয়েক বছর আগে গড়ে উঠেছিল বিনোদনের জন্য কুঞ্জলতা ফুটপার্ক নামে একটি সাধারন বিনোদন কেন্দ্র। যেটা ছিল জনসাধারণের জন্য ২৪ ঘন্টা উন্মুক্ত।
অথচ আজ সেটা আবির্ভূত হয়েছে রাজৈর এলাকায় বিশাল বানিজ্যিক রুপে। স্থাপন করা হয়েছে বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইটস। এক একটা রাইটস এ প্রবেশ মুল্য ধরা হয়েছে যথাক্রমে, ২০,৩০,৪০,৫০,টাকা অথচ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ২ থেকে আড়াই মিনিট যাহা বাচ্চাদের জন্য যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন অবিভাবকগন। পার্কের মুল গেটের প্রবেশ মুল্য রেখেছেন মাত্র ২০ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জন দর্শনার্থী সাংবাদিকদের বলেন রাজৈর উপজেলার এই এলাকা সহ আশে পাশের এলাকা গুলো হচ্ছে ইতালী প্রবাসী এলাকা নামে খ্যাত, তাই সেই কারনেই এখানে নাম মাত্র বিনোদন দিয়ে প্রতিদিন হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আগে অনেকেই প্রতিবাদ করে অপমানিত হয়েছে। এখন আর কেহ প্রতিবাদ করে না।
এই বিনোদন কেন্দ্রের আশে পাশে গড়ে উঠেছে মাদকের অভয়ারণ্য যার প্রভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কিছু অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাচ্চারা। মাদকের ব্যাপারে রাজৈর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানার কাছে জানতে চাইলে সে সংবাদের আলো প্রতিনিধি কে বলেন লোক মুখে শুনেছি কিন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি এবং বিনোদন কেন্দ্রের ব্যাপারেও অনেক অনিয়মের অভিযোগ শুনেছে তাই অচিরেই আমাদের একটি টিম যাবে খতিয়ে দেখার জন্য।
অন্যদিকে বানিজ্যিক ভাবে পার্ক চালাতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি পত্র লাগে কিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহকারী দেলোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান বানিজ্যিক ভাবে পার্ক চালাতে হলে অবশ্যই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার লিখিত অনুমতি লাগবে। কিন্তু আমার জানা মতে কুঞ্জলতা পার্কের কোন আবেদন ফাইল আমাদের কাছে নেই। কিসের জোড়ে তারা বানিজ্যিক ভাবে পার্ক চালাচ্ছে তদন্ত করে দেখা দরকার।
গতকাল অর্থাৎ ১২ জুন কয়েক জন সাংবাদিক কুঞ্জলতা পার্কে গিয়ে টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করে পার্ক ঘুরে এসে টিকেট বিক্রেতা গুড্ডু খালাসি কাছে মালিকের কথা জিজ্ঞেস করলে সে বলে মালিক ঢাকা। এরপরে পার্কের নিয়ম কানুনের ব্যাপারে কিছু বলতে চাইলে সে রেগে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে খুবই খারাপ আচড়ন করে। এমনকি সে একথাও বলে আমি গুড্ডু খালাসি রাজৈর উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহব্বায়ক আমার যা ছিড়তে পারেন ছিড়েন গিয়া। ঘটনাটি পার্কের মালিকের কান পর্যন্ত পৌঁছানোর পরেও এ রপোর্ট লেখা পর্যন্ত মালিক কোন দুঃখ প্রকাশ কিংবা সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করেন নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *