মো: আজিজুর বিশ্বাস, নড়াইল

এলাকার উন্নয়নে যিনি সবসময় কাজ করেন, এবং অসহায় মানুষের সেবা করেন, দরীদ্র-অসহায় মানুষ যাকে ভরসার প্রতিক ভাবেন তিনি হলেন নড়াইলের সফল উদ্যোক্তা ও সফল ব্যবসায়ী এবং তরুণ সমাজসেবক কে এস,এম স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ।

গত সরকারের শাসনামলে তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের উদ্বোধনকালে বা সভা-সমাবেশে ঘোষণা দিয়ে ছিলেন কোন দিন রাজনীতি বা নির্বাচন করবো না। তিনি এখনো একই কথা বলছেন কখনো রাজনীতি বা নির্বাচন করবে না। তবে এলাকার উন্নয়নে, মানুষের সেবায় কাজ করবেন।

এদিকে সেই সফল মানুষকে নিয়ে দুষ্টু চক্রের একটি মহল চালাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার।

জানা যায়, স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ নড়াইলে জেলার লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের উলা গ্রামের সমাজসেবক খোকন চৌধুরীর সন্তান। নিজ গ্রাম বা প্রতিবেশী গ্রামসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টি নন্দন ভবন চৌধুরী বাংলো মিনি পার্ক।
এবং সেটা সকল মানুষের জন্য করা হয়ছে উন্মুক্ত পার্ক। গ্রামের সহজ সরল মানুষসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের দূর্ভোগ নিরসনে ব্যক্তিগত অর্থায়নে স্কুল ও গ্রামের কাঁচা রাস্তা পাঁকাকরণ করছেন তরুণ শিল্পপতি ও সমাজসেবক স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ মহৎ কাজ করায় এলাকার মানুষ ও শিক্ষক,শিক্ষার্থীরা খুশি হলেও হিংসায় জলছে দুষ্টু এক চক্রের কিছু মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ তরুণ বয়সেই ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেন। তিনি সঠিক পরিকল্পনা, মেধা ও শ্রম একসাথে কাজে লাগিয়ে এখন একজন সফল ব্যবসায়ি ও শিল্পপতি হয়েছেন। এখন দেশের অন্যতম পোষাক ব্র্যান্ড ব্লু ড্রীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। ব্লু ড্রীম গ্রুপ সারা বছর অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি খাবার সহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী সরবরাহ করে থাকে।

এছাড়াও দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালে স্বপ্নীল চৌধুরীর সোহাগ দেশের বাহিরে থাকলেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতাকে বিশুদ্ধ পানি, খাবার সরবরাহ করেছেন ব্লু ড্রিম গ্রুপের পক্ষ থেকে ছাত্র আন্দোলনে অসুস্থ ব্যক্তিদের দিয়েছেন নগদ অর্থ।

উলা গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, শত বছরের পুরানো কাঁচা রাস্তা নিজের অর্থ দিয়ে ইটের সলিং করে দিয়েছেন সোহাগ চৌধুরী।

ব্লু ড্রিল্ম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপ্নীল চৌধুরী সোহাগ বলেন, আমি মানুষের সেবা করতে পারলে মনে তৃপ্তি পাই, আমি নড়াইলের উন্নয়নে কাজ করবো সবসময়। তিনি আরও বলেন আগামী ৩ জানুয়ারি উলা গ্রামের চৌধুরী মাঠে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজানৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে ৩ হাজার কম্বল ও ১ হাজার লুঙ্গি বিতরণ করবো। এছাড়াও অনুষ্ঠিত হবে ৫ দিন ব্যাপি গ্রামীণ মেলা। গ্রামের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে ওই মেলায়। থাকবে গ্রামীণ বিভিন্ন খেলাধুলা এবং অনুষ্ঠান, মেলায় আমি নড়াইলের সর্বস্তরের সাধারণ জনগণের উপস্থিতি আশা করছি,