বায়েজিদ হোসেন, বগুড়া

বগুড়ায় মৌসুমের শুরুতে শীত তেমন অনুভূত না হলেও গত কয়েকদিনের মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীত বেড়েছে প্রচন্ড হারে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন ছিন্নমূল লোকজন। তীব্র শীতে রেলস্টেশন, ফুটপাত ও বিভিন্ন খোলা স্থানে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। তাই শীতের কারণে শহরের ফুটপাত ও হকার্স মার্কেট সহ বিভিন্ন মার্কেটে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে সীমাহীন। বগুড়ায় জেঁকে ধরেছে শীত। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত তিনদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না জেলার কোথাও। রাতে ও সকালে ঘন কুয়াশায় দূরে কিছু দেখা মিলছে না। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ ১৪.০৬ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছেন আরো দুই এমন থাকতে পারে বলে জানায় মোঃ আব্দুর রহমান, বগুড়া আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে, শীত নিবারণে সব শ্রেণিপেশার মানুষ গরম কাপড় জড়িয়ে রাস্তায়। কেউবা ঘর থেকেই বের হচ্ছেন না শীতের প্রকোপে। এতে করে দিন মজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে জীবিকা নির্বাহ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হলেও কাজ পাচ্ছেন না অনেকেই। তা সত্বেও তাদের অসহায়ত্ব বিবেচনায় রেখে শীতবস্ত্র নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ নেই। তবে সরকার কর্তৃক কিছু কম্বল বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল বলে জানা গেছে। জেলার আনাচে কানাচে শীতার্ত মানুষের খোঁজ রাখছেনা কেহই। দিনমজুর হায়দার আলী বলেন, সকাল ৬ টায় বের হতে হয় কাজের জন্য। যত শীতই হোক না কেনো আমার বের হতেই হয় কারন কাজে না গেলে পেটে ভাত জুটবে না। এদিকে শীতের তীব্রতাকে ফেলে রাস্তায় বের হয়েছেন রিক্সা চালক। তারা বলছেন শীতের জন্য লোকজন কম যার জন্য ভাড়া কম। আর এতেই সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রচণ্ড শীতের কারণে শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, সর্দি, জ্বর ও চর্মরোগে আক্রান্তরা হাসপাতালে আসছেন। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, তীব্র শীতের কারণে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এটা এখনও স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে শীতের রোগ থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।