শহীদুল আলম, নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজৈর
মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদীটি এখন অযত্ন, অবহেলা, আর অব্যবস্থাপনার কারনে মুখ থুবরে পরে আছে কেবলই ময়লা ফেলার ডাস্টবিন হয়ে।
এই নদীর ইতিহাস শুনলে এখনো মুরুব্বিদের গা শিউরে উঠে। ১৯৪০/৫০ দশকে মাদারীপুর থেকে খুলনা যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন ছিলো এই কুমার নদী। তখন এই নদীর যেমন ছিলো রুপ যৌবন তেমনি ছিলো গভীরতা। খুলনা থেকে মাদারীপুরের চরমুগুরিয়া উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসতো বড় বড় ষ্টীমার। পানির গর্জন শুনে ভয় পেত নদীর পাড়ের বসবাসরত সাধারন জনগন। পালতুলে ছুটে যেতো বড় বড় নৌকা, মাঝিমাল্লার কন্ঠে ভাটিয়ালী গানের তালে তালে। জানা অজানা সত্য মিথ্যা কতনা ঘটনা অঘটনার স্বাক্ষী এই নদী। অথচ কালের বিবর্তনে যৌবনের উদ্দিপনা ও দুরুন্তপনা হারিয়ে নদী আজ মৃত্যুপ্রায়।
বিগত সরকারের আমলে অত্র অঞ্চলের মানুষের কষ্ট ও দুর্দশার কথা চিন্তা করে এই কুমার নদী খনন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেয়া হয় দুই কিস্তিতে ১২শো কোটি টাকা। রাজৈর তথা নদীর দুই পারের বসবাসরত জনগনের মাঝে স্বস্থি ফিরে আসে। টাকা বরাদ্দ হলো, নদীও খনন করা হলো, কিন্ত জনগনের মনের আশা শুধুই আশা হয়ে রইলো। লাভোবান হলেন তৎকালিন সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা। আজ নদীর যে বেহাল দশা তা দেখে বলতেই হয় কি দরকার ছিলো সরকারের কোষাগার থেকে এতগুলো টাকা বরাদ্দ দেয়া। নদীতে পানি না দেখে দেখতে হচ্ছে ময়লার স্তুপ। তাই রাজৈর বাজার কমিটি, বনিক সমিতি, এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, টেকেরহাট থেকে রাজৈর থানা পর্যন্ত এলাকার পরিবেশ ও বাজারের সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থ্যে অব্যবস্থাপনার হাত থেকে নদীটি কে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার ব্যবস্থা করা হোক।
ইপেপার
সম্পাদক ও প্রকাশক ঃ মাহমুদুল হাসান মাহমুদ
বার্তা সম্পাদকঃ কে এম জাহিদ হাসান
প্রধান কার্যালয়ঃ ২৬৩/ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
www.dailyags.com © 2024