সুনামগঞ্জ জেলা আদালতের রায়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর দোকান ফিরে পেলেন মালিক

দীর্ঘ ১২ বছর পর আদালতের নির্দেশে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার প্রসিদ্ধ বাণিজ্যকেন্দ্র জাউয়াবাজারের একটি দোকানকোটার মালিকানা/দখলদারিত্ব ফিরে পেলেন মূল স্বত্বাধিকারী রওশন খান সাগর গং ব্যক্তিবর্গ। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ছাতক উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবু নাসের’র উপস্থিতিতে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র পুরকায়স্থ দোকানকোটার প্রকৃত মালিক/দখলদারদের পক্ষে রওশন খান সাগরের কাছে তা হস্তান্তর করেন। দোকানকোটা নিয়ে দায়েরকৃত মালিক/দখলদার পক্ষের মামলার বাদী রওশন খান সাগর সাবেক দক্ষিণ সুনামগঞ্জ বর্তমান শান্তিগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপাশা ইউনিয়নের বাগেরকোনা (ছয়হারা)নিবাসী মরহুম হিরণ খানের পুত্র। দোকানকোটার অপর শরীকান রয়েছেন ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের ছাতারপই নিবাসী মরহুম আব্দুল জলিলের পুত্র আব্দুল দয়াছ গং ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য, জেএল নং-৩৩৩ জাউয়া মৌজার এসএ ৩৭নং খতিয়ানের এসএ ৫২নং দাগের উপর ০২.২৫ শতক ভূমিতে থাকা এ দোকানকোটার মালিকানা/দখলনিয়ে স্থানীয় পাইগাঁও নিবাসী মোঃ মৃত চমক আলীর স্ত্রী গুলনাহার বেগম গংদের সাথে সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা চলছিল (বিবিধ মামলা নং-১৯৮/২০১২)। শুনানীর একপর্যায়ে ২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ৩নং আদেশে এবং ২০১৮ সালের ১২ নভেম্বর ১২নং আদেশে আদালত ছাতক উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে রিসিভার নিয়োগ করে দোকানকোটাটি ক্রোকাবদ্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর দোকানটি ক্রোকাবদ্ধ করে সিলগালা করতঃ জাউয়াবাজার ইউপি’র তৎকালীন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন এবং জাউয়াবাজার ব্যবসায়ী সমিতির তৎকালীন সভাপতি পীর আসাদুর রহমানের অনুকূলে জিম্মা প্রদান করেন। একই সাথে জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে দোকানকোটার প্রতি নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ দেন।

আদালতের নির্দেশানুযায়ী এরপর থেকে দোকানকোটাটি তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। দীর্ঘ শুনানীর পর সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৫ ফেব্রুয়ারি ’২৫ এক রায়ে [আদেশ নং-৩০২(২]) বাদীপক্ষ রওশন খান সাগর গংদেরকে দোকানকোটার প্রকৃত মালিক/দখলদার হিসেবে ঘোষণা করেন। একই সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোকানকোটার সিলগালা তুলে প্রকৃত স্বত্বাধিকারী/দখলদার রওশন খান সাগর গংদের বরাবরে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসন ৯ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে দোকানকোটার প্রকৃত মালিক/দখলদার পক্ষের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়।