নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- কামরুজ্জামান শ্রাবণঃ-
নড়াইলে ঐতিহ্যবাহী পলো উৎসবে মেতেছেন গ্রামবাসী। সাধারণত শীতকালে খাল ও বিলে পানি কমে গেলে এই পলো বাওয়া উৎসবে মেতে উঠেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। প্রায় প্রতিনিদিনই গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন খাল-বিলে পলো দিয়ে মাছ ধরেন সবাই। পলো বাওয়ার এমন দৃশ্য হঠাৎ চোখে পড়ে নড়াইল-বেনাপোল-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের তুলারামপুর এলাকার একটি খালে। এই খালে প্রচুর কচুরিপানার মধ্যে পলো দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায় গ্রামবাসীকে। দল বেঁধে সারিবদ্ধ ভাবে খালের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন সবাই। এরপর শুরু হয় মাছ ধরার উৎসব।
সরেজমিনে দেখা যায়, অনেকে দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও মাছ পাননি। আবার অনেকে পাঁচ থেকে দশ মিনিটে পলোর মধ্যে মাছ আটকিয়ে ফেলেন। বড় আকারের শোল মাছ ধরে উৎসবে মেতে উঠেন। অনেকে আবার টাকি, খয়রা, সরপুটিসহ বিভিন্ন দেশি মাছ ধরছেন।
বয়োবৃদ্ধ সলেমান, হারেজসহ অনেকে জানান, এই পলো বাওয়া উৎসবে মাছ ধরার আনন্দ অন্যরকম। কে কতগুলো মাছ পেলো, সেটা বড় কথা নয়। মূলত শিশু-কিশোর, তরুণ-যুবক, মধ্যবয়স্কসহ বুড়ো মানুষ সবাই একসঙ্গে আনন্দ করতে পারেন। গ্রামীণ ঐহিত্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখাটাই বড় কথা শীতকালে পৌষ ও মাঘ মাস জুড়ে নড়াইলের বিভিন্ন খাল, বিল ও ডোবায় মাছ ধরার আনন্দ অন্যরকম বলে জানান সবাই। পলো বাওয়া উৎসবের সময় বিভিন্ন পেশার মানুষ ফেসবুকে লাইভ করেন। ছবি তুলে নেন। ভিডিও করেন। এই আনন্দও কম কিসের বলে মন্তব্য করেন পলো উৎসবে আসা বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
তারা বলেন, আগের চেয়ে খাল-বিলে দেশি মাছ কম পাওয়া যায়। আমাদের দাবি-দেশি মাছের ঐহিত্য বাঁচিয়ে রাখতে মৎস্য বিভাগসহ সবাই কাজ করবেন। তাহলে পলো বাওয়ার আনন্দ আরো বেড়ে যাবে। বেশি করে দেশি মাছ ধরতে পারব।
ইপেপার
সম্পাদক ও প্রকাশক ঃ মাহমুদুল হাসান মাহমুদ
বার্তা সম্পাদকঃ কে এম জাহিদ হাসান
প্রধান কার্যালয়ঃ ২৬৩/ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
www.dailyags.com © 2024