ক্রাইম রিপোর্টারঃ
সুন্দরবনে আবার দেখা দিয়েছে ডাকাত আতঙ্ক। বাগেরহাট সুন্দরবনসংলগ্ন মোংলা উপজেলার বনজীবী জেলে ও মহাজনদের দাবি, প্রশাসন থেকে দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা দেওয়া হলেও দীর্ঘদিন পর আবার বেড়েছে ডাকাতের উৎপাত।
সম্প্রতি মুক্তিপণ দিয়ে বনদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া জেলেদের কাছ থেকে জানা যায়, বিস্তৃতি পশ্চিম সুন্দরবনে আতঙ্কের নাম শরীফ বাহিনী ওরফে মেজো ভাই নামে বনদস্যুদের দল তৎপরতা শুরু করেছে। ডাকাত দলটি তিন থেকে চার মাস ধরে।সুন্দরবনের ,হাড়বাড়িয়া, চরাপুটিয়া, ভদ্রখাল ও আন্দারিয়া খাল এলাকা দিয়ে লুটতরাজ করে চলেছে। এই বাহিনীর লোক সংখ্যা ১৫/১৬ জন এদের কাছে ১০/১২ টি বন্দুক হবে তার অরধেই গ্রাম্য ভাবে হতে তৈরি। তারা বলছে প্রশাষনের বেশি টহল না থাকায় রাজকিয় ভাবে দস্যুতা করছে এই বাহিনী।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জেল ভেঙে পালিয়ে আসা কয়েদি ও চিহ্নিত আসামিরাও সুন্দরবনে দস্যুতা শুরু করেছেন। তাঁরা সুন্দরবনে মৎস্য আহরণে যাওয়া জেলেদের কাছ থেকে মাছ, টাকা, মুঠোফোনসহ সবকিছু কেড়ে নিচ্ছেন। এমনকি বনে ঢুকলে জেলেদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের চাঁদাও দাবি করছেন। গত সাত মাসে পশ্চিম সুন্দরবনে অন্তত আটটি অপহরণের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এর বাইরেও অপহরণের ঘটনা ঘটলেও জেলেরা পরবর্তী ঝামেলা এড়াতে প্রকাশ করতে চান না।
বন বিভাগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে সুন্দরবন অঞ্চলের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন দস্যু ৪৬২টি অস্ত্র ও ২২ হাজার ৫০৪টি গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেছিলেন। পরে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রাণবৈচিত্র্যে ভরা সুন্দরবনকে ‘দস্যুমুক্ত’ ঘোষণা করা হয়।
কয়েক বছর পর সুন্দরবনে আবার ডাকাত নেমেছে। এলাকার বনজীবী ও জেলেরা এ নিয়ে খুবই চিন্তিত। দস্যুতা দমনে প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন জেলেরা ।
ইপেপার
সম্পাদক ও প্রকাশক ঃ মাহমুদুল হাসান মাহমুদ
বার্তা সম্পাদকঃ কে এম জাহিদ হাসান
প্রধান কার্যালয়ঃ ২৬৩/ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
www.dailyags.com © 2024