স্টাফ রিপোর্টার: মো: সেলিম রানা দেবিদ্বার, কুমিল্লা

রমজানের ও রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ, কুড়াখাল পূর্ব পাড়া শাহী ঈদগাহ মাঠে প্রতিবছর ঈদের নামাজ পড়া হয়। কুড়াখাল বাসী অন্যান্যতুলনায় আজ ৩১ মার্চ খুব খুশি প্রকাশ করলেন।
পূর্বের তুলনায় ঈদগাহ মাঠে প্রচুর নামাজী এবার উপস্থিত হয়েছেন।
রোজার শেষে আজ হলো খুশির দিন, আনন্দের সাথে সবাই নামাজ পড়ার জন্য ভিড় জমিয়েছে। আজ ঈদগাহ মাঠে ও রাস্তাসহ নামাজ পড়ার জন্য মুসলিম ভীড় হলো।আজকের মত আনন্দ ও খুশি আর কখনও হয় নাই।
বিশেষ করে যারা প্রবাসে আছে তাদেরকে আমরা সবাই মিস করতেছি।

কুড়াখাল শাহী ঈদগাহ মাঠের জন্য কুড়াখালের কমিটি বৃন্দ সুন্দর একটি মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। কুড়াখালের কমিটি বৃন্দ বলেছেন আগামী ঈদগাহ মাঠ আরও সুন্দর রুপে রুপান্তর করা হবে। আপনের সকল মুসলমান এক হয়ে সার্বিক সহোযোগিতায় এগিয়ে আসুন। কমিটি বৃন্দ বলেন এই সমাজকে পরিবর্তন করতে চাই সবাই একমত হয়ে, সমাজগঠনমূলক কাজ করুন। আজ ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন কুড়াখালের সম্মানিত,মুসলমান ছোট বড় মুরব্বিয়ান।

ঈদের প্রকৃত আনন্দ হলো একে অপরের সাথে ভাগাভাগি করা। শৈশবের ঈদের মতো বর্তমানের ঈদকেও প্রাণবন্ত করে তুলতে হলে আমাদের পরিবার ও সমাজের প্রতি আন্তরিক হতে হবে। ছোটদের সালামির আনন্দ দিতে হবে, আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে হবে। ভার্চুয়াল দুনিয়ার পাশাপাশি বাস্তব জীবনের সম্পর্কগুলোকেও গুরুত্ব দিতে হবে। ঈদ মানেই নতুন পোশাক, সুস্বাদু খাবার, দাওয়াত ও উপহার, তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো মানসিক প্রশান্তি। আমরা যদি সবাই মিলে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারি, তবে ঈদের প্রকৃত রূপ ফিরে আসবে।

ঈদ বদলেছে, কিন্তু এর মূল চেতনা বদলায়নি। সময়ের পরিবর্তনের সাথে আমাদের উদযাপনের ধরন পাল্টে গেলেও, ঈদের আনন্দের মূল সূত্র থেকে আমরা যেন কখনো দূরে না সরে যাই। তাই আসুন, এই ঈদে শুধু নিজেদের জন্য নয়, বরং সবাইকে নিয়ে একসাথে আনন্দ ভাগ করে নিই।