মোঃ মকবুলার রহমান
স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী
গাজার উত্তরের জাবালিয়া এলাকায় সড়কের পাশে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে তিনজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই সেনাসদস্য। মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাতে টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহত সেনারা হলেন:
স্টাফ সার্জেন্ট লিওর স্টেইনবার্গ (২০) – কমব্যাট মেডিক
স্টাফ সার্জেন্ট ওফেক বারহানা (২০) – কমব্যাট মেডিক
স্টাফ সার্জেন্ট ওমর ভ্যান গেলডার (২২) – স্কোয়াড কমান্ডার
তারা সবাই আইডিএফ-এর নবম আরমার্ড ব্যাটালিয়নের একটি প্লাটুনে কর্মরত ছিলেন এবং একটি বিশেষ সামরিক অভিযানে অংশ নিচ্ছিলেন।
আইডিএফ’র প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, অভিযানের সময় পাঁচ সেনাসদস্য একটি হামভি জিপে করে একটি ইসরায়েলি ফায়ার ইঞ্জিনকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আগুন লেগে যাওয়া একটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) নিভানোর উদ্দেশ্যে ফায়ার ইঞ্জিনটি সেখানে পাঠানো হয়েছিল। তবে জাবালিয়া থেকে ফিরে আসার পথে জিপটি রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায়।
এই বিস্ফোরণেই তিন সেনা নিহত হন এবং দুইজন আহত হন, যাদের অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলের আশপাশে আরও ২০টি বোমা শনাক্ত করে, যেগুলো বিস্ফোরণের জন্য প্রস্তুত ছিল। তবে কেন সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
উদ্ধার তৎপরতা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং দীর্ঘমেয়াদি। বোমায় ঘেরা অঞ্চল থেকে আহতদের বের করে আনতে সেনাবাহিনীকে একাধিক দফায় গুলি চালাতে হয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তারা খতিয়ে দেখছে, কীভাবে হামাস সদস্যরা আইডিএফ-এর যাতায়াতের রুট সম্পর্কে তথ্য পেয়ে সেখানে বিস্ফোরক পেতে রাখতে সক্ষম হলো।
ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে নিহতদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলার পর থেকে গাজায় ব্যাপক পাল্টা অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। দুই দফা যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গত ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে গাজায় হামলা জোরদার করেছে আইডিএফ। মঙ্গলবারের বিস্ফোরণকে এ সময়ের মধ্যে একদিনে সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
হারেৎজের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৬১ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নারী ও শিশু। দি ডেইলি স্টারে প্রকাশিত তথ্যে এমনটি জানা গেছে।
সূত্রঃ দ্যা ডেইলি স্টার
ইপেপার
সম্পাদক ও প্রকাশক ঃ মাহমুদুল হাসান মাহমুদ
বার্তা সম্পাদকঃ কে এম জাহিদ হাসান
প্রধান কার্যালয়ঃ ২৬৩/ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
www.dailyags.com © 2024