মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মহব্বত আলী নামে এক কর্মী হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার রাতে ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক কোলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ডাক্তার নুরুল ইসলামকে। মামলার আসামিরা সবাই কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশি সাইফুল ইসলাম ফিরোজের অনুসারি বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের করা হলেও নানা নাটকীতার পর বুধবার বিকালে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়। ১ জুন রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এজহারে উল্লিখিত আসামিরা উপজেলার জামাল ইউনিয়নের তালিয়ান শ্মশানঘাট এলাকায় মহব্বতকে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় ঠেকাতে গেলে তার ভাই ইউনুছ আলীকেও কুপিয়ে জখম করে অস্ত্রধারীরা। ইউনুছ আলী বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎধীন রয়েছেন। নিহত মহব্বত উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাবিবর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা বলছেন, ১ জুন সকালে সন্ত্রাসী ঘেনার নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা মহব্বতকে কুপিয়ে খুন করে। সন্ত্রাসী ঘেনা ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামীলীগ দলীয় লোক ছিলেন।
মামলার বাদি নিহত মহব্বত আলী ছেলে ইনামুল হক জানান, আমি মঙ্গলবার রাতে ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার থানায় দাখিল করেছি। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা বিএনপি করি। গত ১৭ বছর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতি হয়েছি। এখন সে সব সন্ত্রাসীরা বিএনপির একটি গ্রুপে যুক্ত হয়ে আমাদের খুন জখমসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা আমার বাবাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এমন বিএনপি চাইনি, আমরা শান্তি চাই। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশি সাইফুল ইসলাম ফিরোজ জানান, আমার কোন অনুসারিরা বিএনপি কর্মীকে হত্যা করেনি। সামাজিক কোন্দলে বিএনপির ওই কর্মী খুনের সিকার হয়েছে। আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী বাবলুর রহমান ঘেনাকে দলে ভিড়িয়ে খুন জখম ও এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির প্রশ্নে কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, ঘেনা বিএনপির কেউ না। সে বিএনপিতে যোগদানও করেনি। স্থানীয় যে চেয়ারম্যানের সাথে দ্বন্দ হয়েছে তারা মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। তারা আওয়ামীলীগের লোকজন। তাদের অভিযোগ সঠিক না বলেও উল্লেখ করেন তিনি ।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার
করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ইপেপার
সম্পাদক ও প্রকাশক ঃ মাহমুদুল হাসান মাহমুদ
বার্তা সম্পাদকঃ কে এম জাহিদ হাসান
প্রধান কার্যালয়ঃ ২৬৩/ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
www.dailyags.com © 2024