জেলা প্রতিনিধি: রাকিবুল ইসলাম মিঠু

রাজশাহী থেকে কোরবানির গরু কিনে তা সরকারি গাড়িতে করে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। তবে বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

ইউএনও বলেন, “আমার বাগাতিপাড়া উপজেলায় কোনো পশুহাট নেই। আমাকে এখানেই ঈদ করতে হচ্ছে। একটা কোরবানি তো দিতে হবে। আশপাশে খোঁজ নিয়েও গরু পাইনি। তাই রাজশাহী থেকে ফেরার সময় সিটিহাট থেকে দুই-আড়াই মণ ওজনের একটা গরু কিনে এনেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমি তো গাড়িতে অবৈধ কিছু তুলি নাই। পেছনের কেবিনে জায়গা ছিল, তাই গরুটা তুলে এনেছি। আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালতের সময়ও অনেক জিনিস জব্দ করে গাড়ির ওই অংশে রাখি। কিন্তু গরু আনার কারণে নানা কথা উঠছে।

তবে বিষয়টিকে “নিন্দনীয়” আখ্যা দিয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, “এটা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। এবং বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।

এদিকে এমন ঘটনা অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হওয়ায় সামাজিক প্রতিক্রিয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন—ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সরকারি সম্পদ ব্যবহার কতটা গ্রহণযোগ্য? আবার কেউ কেউ মানবিক বিবেচনায় ঘটনাটিকে ততটা গুরুতর বলেও মনে করছেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি সম্পদের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্বশীলতার অংশ। ব্যক্তিগত প্রয়োজন হলেও সরকারি সম্পদ ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি, যাতে সুশাসন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।