ক্রাইম রিপোর্টার: তাজুল আমিন

কুমিল্লার দেবীদ্বারের "বল্লভপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়" এর অবসরপ্রাপ্ত ছয় শিক্ষককে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার পর ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিলো বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৯ জুন) বল্লভপুর মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন বিদায়ী সংবর্ধনার দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসনাত।

শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, অবসর পাওয়া শিক্ষকগণের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো মানুষ গড়ার কাজে নিয়োজিত করেছিলেন। তাদের শ্রম, ঘাম, মেধায় তৈরি করা শিক্ষার্থীরা আজ দেশ-বিদেশ আলোকিত করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকদের বিদায়ী সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা শেষে অবসরে যাওয়ায় ছয় শিক্ষককে ঘোড়ার গাড়িতে করে বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের হাতে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ সম্মাননা ক্রেস্ট, মানপত্রসহ নানা উপহার সামগ্রী তুলে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টেনে আবারও ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে তাদের নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হালিম খন্দকার, সহকারী শিক্ষক মো. আবুল হাসেম, কাজী আব্দুল ওয়াহিদ, সোপাল চন্দ্র রায়, মো. আবু তাহের ভুঁইয়া ও মো. শাহ আলম খান।

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে এমন গুণী শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক সুনাম ও সুখ্যাতি অর্জন করেছে। আজ দেশ-বিদেশে হাজার হাজার শিক্ষার্থী সচিব, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশায় আলোর উৎস হয়ে আছে। আর সে কারণে গুণী এই শিক্ষকদের স্মরণীয় করে রাখতে আয়োজন করা হয় জাঁকজমকপূর্ণ এই বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং ফকির গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মো. মজিবুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দেবীদ্বার উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এ বি এম আতিকুর রহমান বাশার ও দেবীদ্বার পত্রিকার সম্পাদক এটি এম সাইফুল ইসলাম মাসুম।

অনুষ্ঠানে বিদায়ি শিক্ষকদের কর্মময় জীবন সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের ৩৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এসএমসির সদস্যবৃন্দ, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় হাজারের অধিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।