ভেড়ামারায় সরকারী নির্দেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফারাকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দিলেন বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক ॥ শোকজ নোটিশ

মোহন আলী স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়া ঃ
শিক্ষা কার্যক্রম আরো গতিশীল এবং মানন্নোয়ন করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার শনিবার প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু রাখার ঘোষনা দেয়। সরকারী সেই নির্দেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফারাকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রথম শিফটের ক্লাস নিয়েই বন্ধ করে দেয় বিদ্যালয়। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে বিদ্যালয় বন্ধ দেখে হতাশ হয়ে ফিরে যান। এ বিষয়ে অভিভাবকরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে মোবাইল ফোনে অভিযোগ করলে টনক নড়ে প্রশাসনের। গতকাল রবিবার সরেজমিন তদন্তে আসেন কুষ্টিয়া জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে তদন্ত টিম। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরই বিতর্কিত ওই প্রধান শিক্ষক কে ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, শিক্ষা কার্যক্রম আরো গতিশীল এবং মানন্নোয়ন করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার গত ১৭ মে ও ২৪ মে শনিবার যথারিতি বিদ্যালয় চালু রাখার নির্দেশ দেয়। ফারাকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান। অভিযোগ রয়েছে, তিনি একজন ফ্যাসিষ্টের সহযোগী। ৫ অগাষ্টের পূর্বে আওয়ামীলীগের পরিচয় দিয়ে তিনি দাপিয়ে বেড়াতেন। নানা অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শিক্ষকদের উপর নিপীড়ন করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমান সরকার শনিবার বিদ্যালয় চালু করার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ কে সরাসরি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান বির্তকিত ওই প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান। শনিবার সকালে ১ম শিফটের ক্লাশ সাড়ে ১১টায় শেস করেই বিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে তিনি সহ সকল শিক্ষকরাই বিদ্যালয় ত্যাগ করে। পরে ২য় শিফটের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসেই দেখেন বিদ্যালয় বন্ধ। এ বিষয়ে ৪র্থ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক রিপন হোসেন কুষ্টিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল আলম সহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ দেন। টনক নড়ে প্রশাসনের। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন। এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষকরা কেউ ভ্যান গাড়িতে, মোটর সাইকেলে আবার কেউ পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে আসচ্ছেন।
এ দিকে অভিযোগের পর গতকাল রবিবার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল আলম’র নেতৃত্বে তদন্ত টিম হাজির হয় ফারাকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভেড়ামারা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দীন, সহকারী শিক্ষা অফিসার ইয়াসমিন খাতুন।
ভেড়ামারা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দীন জানিয়েছেন, সরকারী নির্দেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফারাকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে রাখার অভিযোগের প্রাথমিক সতত্যা পাওয়া গেছে। আগামী ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *