নালিতাবাড়ী পানিহাটার মোহাম্মদ আলী ছেলের বউ দিয়ে প্রতারণা ব্যবসায়

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধিঃ

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার সিমান্ত এলাকার পানিহাটা গ্রামের মোহাম্মদ আলী ছেলের বউ রুপালি আক্তার (২৫) কে প্রতারণার ব্যবসায় সহযোগিতা করেছেন বলে এমন চানঞ্চল্যকর ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
রুপালি আক্তার এর বর্তমান স্বামীর নাম মফিজুল ইসলাম(৩০)।তারা স্বামী স্ত্রী দু-জনে মিলে রুপালির সাবেক স্বামী একই গ্রামের জুয়েল মিয়ার(২৭) সাথে প্রতারনা করেন।

গত ৬ মাস আগে রুপালি আক্তার জুয়েল মিয়ার স্ত্রী ছিলেন। পরে মফিজুলের সাথে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার সময় জুয়েলের ব্যবসার ৫০,০০০ টাকা, মেয়ের শিশু ভাতা ৪৮,০০০ টাকা, গহনা,ছেলে মেয়ে দুই জনকে নিয়েই পালিয়ে যান।
জুয়েল মিয়া রুপালি আক্তার এর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তার এই বিষয়ের সুরাহার জন্য সময় নিলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

কিছুদিন পর রুপালি আক্তার জুয়েলের বোন কে ইমুতে ম্যাসেজ করে জানায় যে,মফিজুল মিয়া তাকে ব্ল্যাকমেল করে বিয়ে করেছে। আমি আবার জুয়েলের কাছে ফিরে আসতে চাই যেহেতু আমার দুইটা বাচ্চা আছে।
সে লক্ষ্যে ২৫/০৪/২০২৫ইং রোজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর থেকে সকালে ময়মনসিংহে জুয়েলের সাথে তার চাচাতো বোনের জামাই এর বাড়িতে নিয়ে যায়।পরের দিন রোজ শনিবার সকাল ৫টার দিকে জুয়েলের কাছে জমি বিক্রির ৫০,০০০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

একপর্যায়ে অনেক খুজাখুজির পর ১৬/০৫/২০২৫ইং রোজ শুক্রবার মফিজুল বাড়িতে আসার খবর পেয়ে জুয়েল মিয়া তাদেরকে হাতে নাতে আটক করে।

এমন ঘটনার জেরে ভোরের কন্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার উসমান ফারুক কে খবর দিলে পেশাগত দায়িত্ব পালনে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনা সুরাহার চেষ্টায় কথা বললে, মফিজুলের বাবা মোহাম্মদ আলী কোনো সুরাহা করতে নারাজি হয়।
একপর্যায়ে মোহাম্মদ আলী তাদের পালিয়ে না যাওয়ার শর্তে ভিডিও স্টেটমেন্ট দেন এবং দায়িত্ব নেন যে, মেয়ের পরিবার না আসা পর্যন্ত তার হাওলায় থাকবে।

শনিবার ১৭/০৫/২৫ ইং গ্রাম্য শালিশীর কথা থাকলেও মোহাম্মদ আলী রুপালি আক্তারের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেনি।পরে বিকেলে জানায়,আগামীকাল অর্থাৎ রবিবারে মেয়ের বড় ভাই আসবে বলে জানায়।রবিবার দিনও জুয়েল এবং গ্রাম্য শালিশীর লোকজন অপেক্ষা করলেও মোহাম্মদ আলী রুপালির পরিবারের কোনো খুঁজ খবর নিশ্চিত ভাবে দিতে পারেনি।
দুপুর ১২:৫৪ মিনিটে ভোরের কন্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার উসমান ফারুক মোহাম্মদ আলীকে ফোন দিলে কথার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি প্রতারণা করেছি আপনারা যা করতে পারেন করেন।

এমন জবাবে জুয়েল মিয়া এবং গ্রাম্য শালিশী লোকজন হতাশা প্রকাশ করেন এবং আইনের আশ্রয় নিতে বললে জুয়েল মিয়া প্রতারক রুপালি আক্তার, স্বামী মফিজুল এবং মফিজুলের বাবা মোহাম্মদ আলী বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ থানায় মামলা করবেন বলে মন স্থি করেন এবং চলে যান।
জুয়েল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে সে বলে, আমি এলাকার নেতা,বিচারক সহ সকল মানুষরে কাছে এর সঠিক বিচারের দাবি করছি।
আমার (১,৫০,০০০৳) এক লক্ষ্য পঞ্চাশ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে আমাকে সর্বসান্ত করেছে।
রুপালি আক্তার এর বাবা-মা এবং মফিজুলের বাবা মা মিলে আমার টাকা মেরে দেওয়ার পায়তারা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *