নড়াইলে কারাবন্দিদের অন্যরকম ঈদের আয়োজন করলেন কারা কর্তৃপক্ষ

মো: আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।

ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মামে আর খুশি। আর ঈদের দিনে স্বজনদের ছেড়ে জেলখানার চার দেয়ালের মাঝে কেমন কাটছে নড়াইল জেলা কারাগারের বন্দিদের।
স্বজনদের ছেড়ে তাদের ঈদ উল আজহাকে আনন্দে রূপ দিতে নড়াইল কারা কর্তৃপক্ষের চেষ্টার কমতি ছিল না বলে দেখা গেছে।

শনিবার (৭ জুন) সকালে বন্দিদের ঈদ, জানতে সাংবাদিক হাজির হয় নড়াইল জেলা কারাগারে।
ঈদের দিন সকালে গোসল সেরে ঈদ জামাতে হাজির হয় কারাবন্দিরা।
এরপর ঈদের নামাজ শেষে চিনিগুড়া পোলাও চালের পায়েস ও মুড়ি দিয়ে সকালের নাস্তা।

এরপরে সাড়ে ১১টার দিকে জেল সুপার কারা বন্দিদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে তাদের দলনেতাদের মাঝে লুডু ও দাবা বিতরণ করেন। ঘড়ির কাটায় দুপুর ১২ টা। ঘণ্টা বেজে উঠে,ও মাইকে ঘোষণা দুপুরের খাবার নেয়ার ডাক। নানা বয়সী কারা বন্দী সুশৃঙ্খল ভাবে লাইনে খাবার সংগ্রহ করে

পোলাও, মুরগির রোস্ট,গরুর মাংস, খাসির মাংস, সালাদ,পান,সুপারি ও মিষ্টি সাজানো। প্রথমেই সেলের ৫ কয়েদি (ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত) ও নারী বন্দিদের খাবার পাঠানো হয়। পরে সারিবদ্ধভাবে খাবার সংগ্রহ করেন সকল কারাবন্দিরা।

কথা হয় বেশ কয়েকজন কারাবন্দীর সঙ্গে। তারা বলেন চার দেয়ালের মাঝে পরিবার ছাড়া ঈদ করাটা বেশ কষ্টের। ঈদের দিন পরিবারের লোকজন আসেন সাক্ষাতের জন্য তাদের সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও ফোনে পাঁচ মিনিট করে কথা বলার সুযোগ পেয়ে, কষ্টটা একটু ভুলিয়ে দেয়। কারাগারে বড় খানার আয়োজন করে,আমরা এই বিশেষ দিনে উন্নতমানের খাবার খাই, যেটাতে কিছুটা হলেও বাড়ি থাকার অনুভূতি আমাদের মধ্যে আসে। কারাগারে সবার সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করি, আর যাদের পরিবার দেখা করার জন্য আসেন তাদের তো খুশির সীমানা থাকে না।

তরা আরও বলেন,কারাগারের পরিবেশ এখন খুব পরিচ্ছন্ন। আমাদের খাবার ও আগের তুলনায় এখন অনেক ভালো। তবে বাইরে যারা আছেন তাদের প্রতি আহ্বান কেউ অপরাধ কর্মের সঙ্গে জড়াবেন না, দেশের আইন মেনে চলুন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন।

নড়াইল জেলা কারাগারের জেল সুপার সঞ্জয় ঘোষ সময় সাংবাদিকদের বলেন, বিশেষ দিনে ২৯৫ জন কারাবন্দির জন্য উন্নত মানের খাবারেরর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিশেষ দিনে তাদের পরিবারের লোকজন সাক্ষাৎ করছেন, তারা নিয়ম মেনে ফোনে কথা ও বলছেন। তাদের খেলাধুলাসহ সাংস্কৃতিক বিষয়ে অংশগ্রহণ মূলক কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করি। কারাগারের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো। আমরা চাই আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে তারা তাদের বাইরের জীবনটা সুন্দরভাবে গড়ে তুলুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *