
গাজীপুর প্রতিনিধি-
যৌন হয়রানিকারী আবু সাঈদ কামালের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মিথ্যা মামলা থেকে সাংবাদিক মামুন হোসেনকে অব্যাহতি দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। তিনি, গাজীপুর সদর প্রেস ক্লাবের আইন বিষয়ক সম্পাদক। গত ২ নভেম্বর উভয়পক্ষের বক্তব্য, দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শুনানি ও ফরেনসিক রিপোর্ট পর্যালোচনার শ্রবণান্তে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল এর বিজ্ঞ বিচারক এ.এম জুলফিকার হায়াত এ আদেশ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মামুন হোসেন এম.এ. ৩০ জুন “সাপ্তাহিক সামাল” পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ “গাজীপুরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগ” শিরোনামে বাদীর সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশ পায়। ওই প্রকাশিত সংবাদের জেরে ( নং-৫৩/৭) শ্রীপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর বাজারের আর.এন.আর এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধীকারী, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি এবং গাজীপুর জেলা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি, রাজাবাড়ী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত. আব্দুল করিম এর ছেলে আবু সাঈদ কামাল,(৫০) ওরফে এস.এ. কামাল ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/ ২৯/৩১ ধারায় মামলাটি করে।
তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগ পত্র দিলে মামলাটি অভিযোগ গঠনের জন্য ১২ অক্টোবরে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রিট আমলী আদালত থেকে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়। ২ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের ধার্য্য দিনে উভয় পক্ষের দীর্ঘ যুক্তিতর্ক ও শুনানি পর্যালোচনা শেষে অভিযুক্ত সংবাদকর্মী কে বিজ্ঞ আদালত মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। এর আগে মামুনের আইনজীবী মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। মামুন এর আইনজীবী আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, “অভিযোগ গঠনের কোন উপাদান না থাকায় বিজ্ঞ আদালত সাংবাদিককে মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।” তিনি আরো জানান, মামুনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। সম্পূর্ণ আক্রোশের উপর শত্রুতামূলক বানোয়াট এ মামলা করেছে। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), মোঃ নজরুল ইসলাম শামীম।
সংবাদকর্মী মামুন জানায়, ” এস.এ. কামাল পুলিশী দালালী করে জীবিকা নির্বাহ করে। আমার কাছ থেকে কিছু অর্থ হাতিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে এ মামলা করেছিলো।”
এবিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।