
মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন, কক্সবাজার
কক্সবাজারে পুলিশের এক বিশেষ অভিযানে কক্সবাজার থেকে মালয়েশিয়া সাগরপথে পাচারকালে জড়ো করা ৬৬ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ সময় মানব পাচারকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের দাবী, এই অভিযানকালে পাচারকারী চক্রের আরও অন্তত ২২ জন পালিয়ে গেছে। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ এই অভিযান চালায়। কক্সবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযানকালে ৪টি রাইফেলের গুলি, ১টি দেশীয় রাম দা ও ১টি ক্রিস উদ্ধার করা হয়। টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কচ্ছপিয়া এলাকার মধ্যম কবরস্থান সংলগ্ন পাহাড়ের ওপর আবদুল আমিন নামের এক পাচারকারীর অস্থায়ী তাবু ঘর রয়েছে। এখান থেকে উক্ত ৬৬ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত পাচারকারীরা হলেন- শুক্কুরের ছেলে রাশেদ (২৫), সুলতান আহমদের ছেলে সালেহ আহাম্মদ (৩৫) ও নুরুল কবির (২৭), রশিদ আহাম্মদের পুত্র সৈয়দ আলম (২৪), আবদুল গফুরের ছেলে কামরুল ইসলাম প্রকাশ মো. শিপন (৩২)।
এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ। পাচারকারী চক্র ১০-১৫ দিন ধরে ক্রমান্বয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুদের ধরে নিয়ে এসে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য ঘটনাস্থলে জড়ো করেছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো পালিয়ে যাওয়া পাচারকারী বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার নুর হোসেনের ছেলে কেফায়েত উল্লাহর। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্হা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন , কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।