ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন

মোঃ জুয়েল রানা

কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের ১২২নং পশ্চিম আলীয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে। পলেস্তারার টুকরোও ঝরে পড়ছে।
স্কুলের এই ভবনের চারটি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে তিনটিতে শ্রেণির কার্যক্রম চলে। একটি কক্ষ অফিস হিসেবে ব্যবহার হয়। পুরো ভবনটাই ঝুঁকিপূর্ণ। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন জেনেও এটা ব্যবহার হচ্ছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে আতঙ্কিত সবাই।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের আলীয়ারা গ্রামে ১৯৬৮ সালে ৩৩ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়ের জন চার কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। ২০১২ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০৩। শিক্ষক রয়েছেন চারজন।
গ্রামের ভেতরে অবস্থিত এই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করলেই দেখা যায় বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে আস্তর উঠে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ে ঝুকি নিয়ে ক্লাস করতে হয় কোমল মতী শিশুদের।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাদিয়া, বায়েজিদ, সানি, জেরিন জানায়, বিদ্যালয়ের ভবনটি পুরোনো হয়ে পড়েছে। স্কুল খোলা থাকা অবস্থায় শ্রেণিকক্ষে ছাদ থেকে সিমেন্ট ওঠে শরীরের ওপর পড়েছে অনেক সময়। এই ঝুঁকি নিয়ে ভয় হয় সবার। এই স্কুলে নতুন একটা ভবন প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষীকা রত্নাপাল জানান, বিদ্যালয় ভবনের অবস্থা তেমন ভালো না। সিমেন্ট উঠে যাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভবনটি। একটা নতুন ভবনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। একটা ভবন খুবই দরকার। বিদ্যালয়ের বাথরুমের অবস্থাও বেহাল, যা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুভাশ চন্দ্র সরকার জানান, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে যদি পরিত্যক্ত করার উপযোগী মনে হয় তা হলে পরিত্যক্ত করা হবে। আর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *