কাজিপুর সরকারি মনসুর আলী কলেজের অধ্যক্ষ পদায়নে উপাধ্যক্ষ রেজাউল করিম

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর সরকারি মনসুর আলী কলেজের সুযোগ্য উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক রেজাউল করিম অধ্যক্ষ পদে একই কলেজে পদায়ন হয়েছেন। ১২ ফ্রেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রালয় কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে তার নাম পদবি তালিকাভুক্ত হয়েছে।
এদিকে তার এই পদায়নের সংবাদে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।নবাগত অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি আজকে অত্র কলেজে যোগদান করেছেন।
পদোন্নতি প্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক রেজাউল করিম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।তিনি ২০০৬ সালে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম যোগদান করেন সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া সরকারি কলেজে।এ কলেজে তিনি পাঁচবার শিক্ষক পরিষদের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।তারপর তিনি ২০১৪ সালে সিরাজগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক পদে যোগদান করেন।
শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ছাত্র বান্ধব মানসিকতায় অত্র কলেজে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা সহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সিরাজগঞ্জ জেলা শাখায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।২০১৫ সালের জুন মাসে তিনি কাজিপুর সরকারি মনসুর আলী কলেজ এ উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।তার যোগদানের শুরুতে এই কলেজে লেখাপড়ার মান ভালো ছিল না, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল অতি নগন্য।অপ্রতুল অবকাঠামো, নিম্নমানের ক্লাস রুম ও লাইব্রেরি,জরাজীর্ণ সকল কক্ষ। আস্তে আস্তে তিনি কলেজটিকে শিক্ষা বান্ধব কলেজ হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বেশকিছুদিন কলেজের অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করে কলেজটির আমুল পরিবর্তন এনেছেন।বর্তমানে কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজারের মতো।ইতোমধ্যে ৭ টি বিষয়ে অর্নাস, ৩ টি বিষয়ে মাস্টার্স ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৩ টি নতুন বিষয় চালু রয়েছে।
রেজাউল করিম একজন শিক্ষানুরাগী সামাজিক ন্যায়বিচার বোধ সম্পন্ন সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্ব।সমাজের যে কোন অসংগতি সামাজিক অবিচার, অন্যায় দুর্নীতি প্রতিরোধে বলিষ্ঠ উদ্যোগ নিতে এগিয়ে আসেন।তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, সত্যবাদী ও স্পষ্ট ভাষী মানুষ।তিনি সবসময় শিক্ষা মুলুক কাজের সাথে জড়িত।
এ বিষয়ে পদায়ন হওয়া অধ্যক্ষ অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, “যে কোনো প্রাপ্তি ও স্বীকৃতি কর্মস্পৃহা ও উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে।আমি একজন সরকারি কর্মচারি হিসেবে এবং কাজিপুরের সন্তান হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।আমি আমার সর্বোচ্চ মেধা সৃজনশীলতা দিয়ে শিক্ষার্থীর সুপ্ত মেধার বিকাশ ঘটাতে চেষ্টা চালিয়ে যাবো।আমি সব সময়ই চেয়েছি শিক্ষা, শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করতে।কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান বৃদ্ধিতে আমি সব সময়ই ইতিবাচক ছিলাম তবে এমন অর্জন আমাকে আরও অনুপ্রেরণা দিবে।তিনি সবার কাছে সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *