
ক্রাইম রিপোর্টার মো: রফিকুল ইসলাম
১৯৮২ সালে ছাত্র অবস্থায় ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে পূর্ব অঞ্চল ও পশ্চিম অঞ্চলের শিক্ষক, ছাত্র, কৃষক জনতা ,হাফেজ, মাওলানা, রাজনীতিবিদ, কামার, কুমার ,জেলে, তাঁতি, ইমামগণ সহ ঐক্যবদ্ধ করে নিম্ন অঞ্চল ঐক্যজোট গঠন করে পথে প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ইসলামপুরবাসীর মাঝে বিএনপি বড় দল থেকে যখন সবাই জাতীয় পার্টিতে চলে যায় ঠিক তেমনি মুহূর্তে ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির হাল ধরেন সেই দিনের ছোট মোঃ সুলতান মাহমুদ বাবু ভাই, আট বছর পথে পান্তে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে ৯০ এরগণ আন্দোলনে স্বৈরাচারী এরশাদের পতন করে ১৯৯১সালে ছোট্ট সুলতান মাহমুদ বাবু তৎকালীন সময়ের বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ৬ বারের এমপি প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব রাশেদ মোশারফ এর সাথে ভোট যুদ্ধ অবতীর্ণ হয়ে জনতার ভোটে বিজয় লাভ করেন সুলতান মাহমুদ বাবু , তৎকালীন সময়ের রাশেদ মোশারফ এর ভোট চোর ক্যাডার বাহিনী পূর্বে ব্রহ্মপুত্র নদ ও পশ্চিমে যমুনা বহুমুখী নদী নৌকা যুগে ভোট ইসলামপুরে আসার পথে নদীর তীরে সন্ত্রাসী বাহিনী রাশেদ মোশারফ এর নির্দেশে সুলতান মাহমুদ বাবুর ধানের শীষের বিজয়ী ভোট বাক্স সহ এই দুটি নদীতে ভোট ফেলে দেয় যার কারণে বাবু ভাই পরাজিত হন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩ মাসের এমপি জননেতা আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু ভাই নির্বাচিত হন তখনই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মাধ্যমে জামালপুর থেকে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত বিশ্বরোড রাস্তা মঞ্জুর করেন। ১৯৯৬ সালের ১২ই জুন আবারো সন্ত্রাসী কায়দায় রাশেদ মোশারফ সাহেব ইসলামপুরে নির্বাচিত হন, কিন্তু মীর জাফর আলী খাঁ বিজয়ের চেয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের ইতিহাস অনেক বেশি।২০০১ সালের ১ লা অক্টোবর থেকে ২০০৬ সালের ২৭ সে অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি দলীয় এমপি জননেতা আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু ভাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সার্বিক সহযোগিতায় ইসলামপুর উপজেলার যমুনার নদীর তীরে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাধ নির্মাণ ও ব্রহ্মপুত্র নদীর মাঝে নদী শাসন থেকে শুরু করে ইসলামপুর উপজেলার পাকা রাস্তা, কাঁচা রাস্তা, অসংখ্য ব্রীজ , কালভাট ,বিদ্যুৎ , ঢেউটিন, স্কুল, কলেজ, মহাবিদ্যালয়, সেনাবাহিনীতে চাকুরী, পুলিশ , বিজিবি, আনসার, শিক্ষক, শিক্ষিকা, ডাক্তার, মৎস্য বিভাগের চাকুরী, পল্লী বিদ্যুৎ, সরকারি বিদ্যুৎ, পশু ডাক্তার, সহ অসংখ্য চাকুরীর সহ জামালপুর জেলার ইসলামপুর ও বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সচিব ও পুলিশ প্রধান এই ২ জন কে সরকারের সর্বোচ্চ নিয়োগ প্রদান করিতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে বারবার সুপারিশ করেছেন সুলতান মাহমুদ বাবু ভাই, এখন তারা দুইজনেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সুলতান মাহমুদ বাবু ভাইয়ের উন্নয়নের কথা বলতে গেলে যদি সব সাগরের জল কালি হত আর পৃথিবীর সব গাছ লিখুনি হতো তারপরও ইসলামপুরে সুলতান মাহমুদ বাবু ভাইয়ের উন্নয়নের কথা লিখে শেষ করা যাবে না। ওনার এমপি জীবনে অনেক উপকার করেছেন জামালপুর জেলা ইসলামপুর বাসীকে যার আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা দেখে ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের ফক্করউদ্দিন ও মইনুদ্দিন সরকার দেশে বিভিন্ন এমপি মন্ত্রী দের বিরুদ্ধে মামলা মোকাদ্দমা করেছিলেন কিন্তু আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কেউ কোন প্রকার মামলা দেয়নি মামলা করাতেও পারেনি এটাই সত্যবাদী আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু। পরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর।মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের ষড়যন্ত্রমূলক প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে সারাদেশের মতো পরাজিত করেন এই জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব উন্নয়নের রূপরেখার মহামানব যাকে ইসলামপুরবাসী উপহার দিয়েছেন ইসলামপুরের উন্নয়নের রূপকার আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু । পরাজিত হওয়ার পরে ইসলামপুরের ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল ভাই যখন দেখেন আগামী নির্বাচনে সুলতান মাহমুদ বাবু ভাইকে কোনভাবেই পরাজিত করা যাবে না সেই জন্য তার অনুসারী মতিউর রহমান ডিজেল, মাকসুদুর রহমান আনসারী সহ অনেক নেতৃবৃন্দদের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে ইসলামপুরে বিএনপিতে একটি দুর্যোগপূর্ণ সময়ের এস এম আব্দুল হালিম সাহেব কে সভাপতি করা হয়। সভাপতি হয়ে সেই সময় এলাকার যোগাযোগ না রেখে তিনি যখন ঢাকায় অবস্থান করেন সেই সময়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির দক্ষ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব জামালপুর জেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে তদন্ত রিপোর্ট কৌশল বিনিময় করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু ভাইকে ইসলামপুরের দায়িত্ব আবার অর্পণ করেন। সেই থেকেই আওয়ামী বাকশাল সরকারের দীর্ঘ ১৭ বছরের মামলা হামলা নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়েছে পুলিশ ।সকল নেতাকর্মীদের মামলা হামলা খরচ সহ সকল দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে চালিয়ে নিয়েছেন এই সুলতান মাহমুদ বাবু ভাই। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর উপজেলা বিএনপির আবারো নতুন করে দায়িত্ব আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ বাবু ভাই সদস্য সচিব আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম নবাব ভাই এবং পৌরসভার দায়িত্বে আহ্বায়ক আলহাজ্ব রেজাউল করিম ঢালী, সদস্য সচিব মোহাম্মদ জাকির হোসেন, গ্রাম গঞ্জে পথে পথে ঘুরে ঘুরে ১০৮ উপজেলা ও ১০টি পৌরসভার কমিটির জনসভার মাধ্যমে ইউনিয়ন কমিটির বিশাল জনসভা করে করা হয়েছিল যা দেখে ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালে প্রিন্স ভাইয়ের প্রধান অতিথি, জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ভাই এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুন ভাই,, ইসলামপুর উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি বিশাল ঐতিহাসিক সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়। এটা পকেট কমিটি নয় যারা বলেন সেটা পুরা দুম্বাজ কথা। ২০২৪ সালে এই কমিটি অনুমোদন করা হয় কাজেই সুলতান মাহমুদ বাবু একদিনের বাবু না পায়ে পায়ে তিল তিল করে ৪২ টি বছর জীবনের প্রথম ছাত্র, যুবক, পুণ্য যুবক, আজ প্রবীণ বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদদের মাঝে একজন , ইসলামপুরের জনগণের মাঝে সুলতান মাহমুদ বাবু এমনই একজন যাকে এইজনমে দেখে ভরবে না জনগণের মন। সারাদেশের আন্দোলন সংগ্রাম কে করেছে ইসলামপুর বাঁশি জানে, জানে মিডিয়ার লোক, প্রশাসনের লোক, সিভিল প্রশাসন, তৎকালীন সরকারী দলের লোকজন সবাই জানে সুলতান মাহমুদ বাবু কারোর সাথে আঁতাত করে রাজনীতি করে নাই ইসলামপুরে যতগুলো আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে সুলতান মাহমুদ বাবু ভাইয়ের নেতৃত্বে হয়েছে। ৫ আগস্টের পরে বিভিন্ন প্রকার নতুন মেহমানের আগমন ঘটিয়ে ইসলামপুরে নির্বাচন করতে চান জনগণের ভালোবাসা পেতে চান ৫ আগষ্টের পূর্বে ব্রহ্মপুত্র ও বহুমুখী যমুনা সহ সারা ইসলামপুরে যেখানেই যান কমিটি একটাই নেতাও একটাই আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু ভাই,,,জামালপুর ভয়েজ,,, দেখে শুনে তদন্ত করিয়া প্রতিবেদন দিবেন। না হলে এটা প্রত্যাহার করে নেবেন, প্রবাদে একটা কথা আছে, মিছে কথার যষ বেশি, খালি কলস বাজে বেশি, এক ছাওয়ালা মুরগির আশ্ররন বেশি। দুম্বাজি নিউজ না করে সদা সত্য কথা বলে ইসলামপুর বাসির উন্নয়নের রূপকার সাবেক সফল ২বারের এমপি জননেতা আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু ভাই কে নিয়ে আরেকটিবার ইসলামপুরের সুজলায় সফালায় ভরা রূপসী বৈচিত্র্যময় সাজিয়ে গুছিয়ে ফুলের পুষ্পে ভরা বৃক্ষকে উন্নয়নের স্বার্থে আসুন আরেকটিবার হাতে হাত মিলিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, বুকে বুক মিলিয়ে ,চোখে চোখ মিলিয়ে, ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে ইসলামপুরের উন্নয়নকে ধরে রাখি এই হোক আমাদের অঙ্গীকার সুখে-দুখে যাকে পাই, সেই মোদের বাবু ভাই। ১৭ বছরের মামলা হামলা নির্যাতিত কর্মীদের নিয়ে নির্জন নিঃস্ব আমাদের সাবেক এমপি আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু ভাই আপনাদের দেয়ার মত কিছুই নাই আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে দিলেন তাই,,,,,, পাশাপাশি এমপির স্ত্রী নিলুফা মাহমুদ কনা তার কন্যা ইসলামপুর উপজেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাবা নাশিদা শাফিজ বিন্তি আন্টি সহ বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে অসহায় মানুষের খোঁজ খবর শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন ইত্যাদি করে থাকেন,।সাবেক সফল ২বারের এমপি জননেতা আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু ভাইয়ের বড় ২ ভাই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান সাহেব, চীপ ইঞ্জিনিয়ার অবসরপ্রাপ্ত আলহাজ্ব মমিনুল ইসলাম খোকা এই পরিবার দুর্নীতি করতে আসেনি, নিতে আসেনি, এসেছে ইসলামপুরবাসীকে দিতে।,কেউ দুঃখ না করে আসুন সকলে মিলে মিশে সত্য প্রকাশ করতে শিখি পরিশেষে আপনাদের সকলের সার্বিক সাফল্য কামনা করে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।