
মোঃ আকাশ বান্দরবন জেলা প্রতিনিধি
বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। ১৬ বছরের চেয়ারম্যানিতে এমন কোনো অনিয়ম নাই যা তিনি করেননি। নিয়োগ, বদলি, টেন্ডার, জমি ও প্লট বাণিজ্য থেকে শুরু করে বান্দরবান জেলা পরিষদের ২৮টি ন্যস্ত বিভাগের প্রত্যেকটি প্রকল্পের কাজে তাকে আগে % দিতে হতো। না হয় প্রকল্পের বিল আটকে রাখত দিনের পর দিন।
এভাবে প্রায় হাজার কোটি টাকার মালিক দুর্নীতি করে,চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। পুরো বান্দরবানে প্রায় ৮শ’একর,তার স্ত্রীর ও আত্মীয়-স্বজনের নামে শত শত কোটি টাকার সম্পদ।
অনুসন্ধানি রয়েছে তার স্ত্রীর ও আত্মীয়-স্বজনের নামে শত শত কোটি টাকার সম্পদ। সদর উপজেলার রামজাদী নামক স্থানে জমিসহ প্রায় ৩০ কোটি টাকা দামের বাড়ি নির্মাণ করেছেন চীন থেকে রাজমিস্ত্রি এনে।
করেছেন জেলা পরিষদের প্রকল্প থেকে; যেখানে অন্য কোনো বসতি নাই বললেই চলে। জানা যায়, তার নিজের ব্যক্তিগত প্রার্থনার জন্য যে ক্যায়াং ঘর নির্মাণ করা হয়েছে তাও জেলা পরিষদের টাকায়। অন্যদিকে সদর উপজেলার যৌথ খামার এলাকায় স্ত্রী নামেও তিনটি দলিলে জমি রয়েছে প্রায় ২০ একর।
তাছাড়াও মিয়ানমারে গাড়ির শোরুম এবং মালেশিয়ায় জুতার ফ্যাক্টরি,কানাডা, দুবাইসহ অনেক ব্যবসা বাণিজ্য রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
বান্দরবানের এক নেতা প্রতিদিনের কাগজকে জানান, এসব সম্পদ সর্বনিম্ন বাজার দরও যদি ধরা হয় তাও হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
জমি ও প্লট বাণিজ্য: জমি ও প্লটের লিজ বাণিজ্য ছিল ক্যশৈহ্লার অবৈধ আয়ের অন্যতম উৎস।