মোঃ আল আমিন
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের রায়গ্ৰাম এলাকায় ১৭/০২/২৫ইং তারিখে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই
সারজমিনে গিয়ে ,স্থানীয় এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মোঃ জাহাঙ্গীর ইসলাম(৩৫) (পিতা: মোঃ গফুর ইসলাম) ভুক্তভোগী কিশোরীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেন। ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দুপুর ৩:০০ টা এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মা বলেন , আমি মাঠের মধ্যে আলু উঠাতে গেছি , দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য বাড়িতে আসলে, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর ইসলাম এবং আমার মেয়ে দুজনকেই কাপড় বিহীন অবস্থায় দেখতে পাই । অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর ইসলামকে মেয়ের মা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে সে চলে যায় এবং তার মেয়েকে বাসায় রেখে আমি আবার মাঠে আলু উঠাইতে চলে যাই । ভুক্তভোগী মেয়ের মা বলে আমি কাজ শেষ করে সন্ধ্যার দিকে এসে মেয়ের বাবাকে নিয়ে গ্রামের মন্ডল/ মাতব্বর ডেকে বিচার করব বলে মাঠের দিকে চলে যাই । এদিকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর ইসলাম বৈকাল ৪:০০ দিগে ভুক্তভোগী মেয়েকে নিয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায়। পরবর্তীতে পারিবারিক ও এলাকাবাসীর চাপে ভুক্তভোগী মেয়েকে ১৭/০২/২৫ ইং তারিখে রাত ১০:৩০ মিনিটে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তির লোকজন। এরমধ্যে ভুক্তভোগী নিজেই বলে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার এবং স্থানীয় লোকজন এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত মা বলেন, বাড়ির পাশাপাশি হওয়ায় সম্পর্ক থাকতেই পারে , তাই বলে একটা মেয়েকে আমার ছেলে ধর্ষণ করবে না। পারিবারিকভাবে তাদের সাথে ঝগড়া বিবাদ ছিল সেই সূত্রে মেয়ের মা মেয়েকে জোর করব সকলের সামনে আমার ছেলের বাসায় রেখে যায়।
আমার ছেলের বউ বাচ্চা আছে । তাদেরকে নিয়ে আমার ছেলে অনেক সুখে শান্তিতে বসবাস করতেছে। এখন আমার ছেলে আমার বাড়িতে নাই। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই এবং সুষ্ঠু বিচার চাই।
সামাজিক প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।
পাঁচবিবি থানার ওসি মোঃ ময়নুল ইসলাম বলেন, “আমরা কোন অভিযোগ বা এজাহার হাতে পায়নি। যদি কোন অভিযোগ পাই তাহলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার করা হবে।